ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় সেনাসদস্যের হাতে ল্যাপটপের একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেনাসদস্যের ল্যাপটপ জমাকরণে ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে বক্তব্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ওই ঘটনার বিস্তারিত জানায় আইএসপিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংসদ ভবনের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে সচেতন নাগরিকরা হারানো রাষ্ট্রীয় সম্পদের কিছু অংশ ওই দিনই সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাকগ্রাউন্ড ভয়েজ সংযোজিত একটি ভিডিওতে সংসদ ভবন এলাকায় ল্যাপটপ হাতে হাসিমুখে হেঁটে যাওয়া একজন সেনাসদস্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড ভয়েজে দুইটি ল্যাপটপ সেনাসদস্য অবৈধভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে দাবি করেন। এ ঘটনায় সেনাসদস্য এবং সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করা হয়।
আইএসপিআর আরও জানায়, ঘটনার দিন সেনাসদস্যদের কাছে একটি ল্যাপটপ ও একটি স্ক্যানার কয়েকজন সচেতন নাগরিক হস্তান্তর করে। যা ওই সেনা সদস্য নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে জমা করেন। পরবর্তীতে উদ্ধার করা অন্যান্য সামগ্রীর সঙ্গে ওই ল্যাপটপ ও স্ক্যানার জাতীয় সংসদ ভবনের সার্জেন্ট এ্যাট আর্মসের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশপ্রেমী ও পেশাদার সেনাবাহিনী সংক্রান্ত এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে জনগণের কাছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলেও জানায় আইএসপিআর।
আই/এ