বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে হতাহতদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে তথ্য চেয়ে সারাদেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, কবরস্থান এবং জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। বললেন দুপুরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি।
তিনি জানান, তদন্তের অংশ হিসেবে দেশের সব প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কাছে তথ্য ও ভিডিও ফুটেজ চেয়েও চিঠি দেয়া হয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলাকালীন শেখ হাসিনাসহ গণহত্যা মামলার আসামিরা চাইলে বিদেশি আইনজীবী রাখতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রসিকিউশন টিমের কোনো আপত্তি থাকবে না। ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রসিকিউশন টিমের যা যা করা দরকার সেটা করবে।
তিনি বলেন, প্রসিকিউশন টিম কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে, তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। হাসপাতাল পরিচালকদের কাছেও তথ্য চাওয়া হয়েছে। আজকেও কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শন করা হবে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত করার জন্যই এই উদ্যোগ। যাতে করে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো প্রশ্ন না থাকে। ক্ষতিগ্রস্তরা এই গণহত্যার বিচারের জন্য মুখিয়ে আছেন। সাক্ষীরাও আগ্রহী। আলামত তাজা থাকতেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
তিনি বলেন, বিচারে এই সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নাই। কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। ছাত্র-জনতার সঙ্গে ঘটে যাওয়া নির্মমতার বিচার হওয়াই লক্ষ্য।
জেএইচ