বাংলাদেশ

মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা মামলার আসামি অতিরিক্ত এসপি কাফী সাময়িক বরখাস্ত

বায়ান্ন প্রতিবেদন

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানা এলাকায় পুলিশের পিকআপ ভ্যানে লাশ তোলার পর আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনায়  তাকে শনাক্ত করার হয়। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর আগে আব্দুল্লাহিল কাফিকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ২ সেপ্টেম্বর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় রাত ১০টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপার নিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী ধানমন্ডি থানা ও হাজারীবাগ থানার মামলায় গ্রেপ্তার রয়েছেন। সেহেতু তাকে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ছিলেন আব্দুল্লাহিল কাফি। তার নির্দেশেই লাশগুলো পুলিশের পিকআপ ভ্যানে তোলার পর আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তাকে শনাক্ত করার পর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি আশুলিয়া এলাকার একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। ওই ফুটেজে দেখা যায়, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানা এলাকায় পুলিশ সদস্যরা একটি ভ্যানে একাধিক লাশ তুলছে। ওই মরদেহগুলো পরে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে তুলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে তা তদন্ত করতে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।

এএম/

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বরখাস্ত | মামলা