লিটারপ্রতি ১৪ টাকা দাম কমিয়ে সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭৮ টাকা। নতুন দাম কার্যকর হওয়ার কথা ছিল গত মঙ্গলবার থেকে। অথচ দাম কমানো হলেও সে দাম মানেননি ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর সাধারণ ক্রেতাদের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটলেও, নতুন দরে এখনও পাওয়া যাচ্ছে না তেল।
ভোক্তাদের অভিযোগ, সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে যে গতিতে বেড়ে যায়, কমানোর ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিন পরও তা কমতে দেখা যায় না। ফলে কাগজে-কলমে কমানোর ঘোষণা দিলেও বাস্তবে এর সুফল পেতে অপেক্ষা করতে হয় তাদের।
কয়েকজন মুদি দোকানি জানান, দাম কমানোর আগে কৌশলে ডিলারদের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের বেশি পরিমাণে তেল সরবরাহ করে কোম্পানিগুলো। এরপর হুট করে দাম কমানোর ঘোষণা দেয়। এতে বিপদে পড়ি আমরা ছোট ব্যবসায়ীরা। সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নজরদারি না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়ান বা কমান।
রাজধানী ঢাকার কোনো বাজারে নতুন মূল্যের সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি। মুদি দোকানদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, মিল থেকে নতুন দামের তেল এখনও আসেনি। বেশি দামে কেনা থাকায় আগের দরেই বিক্রি করা হচ্ছে। তবে আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই নতুন দরের তেল বাজারে পৌঁছে যাবে, এমনটি বলছে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী ও বিপণনকারী কোম্পানিগুলো।
আসাদ ভূঁইয়া