যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে হয়ে গেলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গা পূজার আয়োজন। প্রথমবারের মতো পুজো আয়োজন করে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি ও ভারতের বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ঐতিহাসিক এ আয়োজনের সাক্ষী হতে শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বী নয়, এসেছিলেন অন্য ধর্মের মানুষ, ভীন দেশের লোকজনও।
দুর্গোৎসবে কিশোর–কিশোরীদের ছিল স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। দুর্গা উৎসবকে কেন্দ্র করে টাইমস স্কয়ার হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশিদের মিলনমেলা। যুক্তরাষ্ট্রের নানা অঙ্গরাজ্যসহ কানাডার বিভিন্ন প্রদেশ থেকেও হাজারো বাংলাদেশির পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে ম্যানহাটনের এই প্রাণকেন্দ্রটি।
বিশ্ব বিনোদনের কেন্দ্র ধরা হয় নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারকে। উঁচু উঁচু ভবনগুলোর দেয়ালজুড়ে শত শত স্ক্রিন, যেগুলোতে প্রচার হয় বিভিন্ন বিনোদন কনটেন্টের প্রচারণা ঝলক। বাংলাদেশও সেই মিছিলে যোগ দিয়েছে বেশ আগেই। এর আগে হিন্দু সম্প্রদায়ের কীর্তন বা দিওয়ালি উৎসব হয়েছে।যোগ ব্যায়ামের বড় আসরও বসেছে নিউইয়র্কের এই এলাকায়। বড় পর্দায় প্রদর্শিত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা চলচ্চিত্র। চলতি বছর বাংলা বর্ষবরণের উৎসবও হয়েছে টাইমস স্কয়ারে। রমজান মাসেও ছিল তারাবির নামাজ। কিন্তু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা এই প্রথম।
এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শারদ উৎসব প্রায় শেষের দিকে হওয়ায় হিমেল বাতাস বইছে। সনাতন ধর্মের শাস্ত্রমতে, ৩ অক্টোবর শুরু হয়েছে নবরাত্রি। বৃহস্পতিবার দেবী দুর্গা এবার দোলায় চড়ে বাবার বাড়ি এসেছেন। দেবীপক্ষের নয় দিন শেষ হবে ১২ অক্টোবর। যুক্তরাষ্ট্রে শনি ও রোববার বন্ধের দিন হওয়ায় এ দুই দিনকেই বেছে নেওয়া হয় টাইমস স্কয়ারের পূজা আয়োজনের জন্য।
বেঙ্গলি ক্লাব ইউএসএ এবং হিন্দু কমিউনিটি অব নিউইয়র্কের আয়োজনে ৫ ও ৬ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী চলে এ উৎসব। গোটা এলাকা নেচে উঠে ঢাকের শব্দ আর ধূপধুনোর গন্ধে। সংগীত, নৃত্য, কবিতা আবৃতিসহ নানা আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি-ভারতীয় শিল্পিরা।
এমআর//