লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য প্রধান হাশেম সাফিউদ্দিনকে ইসরাইলি বিমান হামলায় হত্যার দাবি করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক ভিডিওতে এমন দাবি করেন তিনি। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
গেলো মাসে ইসরাইলের হামলায় নিহত হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছিল সাফিউদ্দিনের। কিন্তু বৈরুতের দাহিয়া এলাকায় ইসরাইলি বিমান হামলার পর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন সাফিউদ্দিন। তাকে আর জনসম্মুখে কিছু বলতে শোনা যায়নি। পাওয়া যায়নি কোনো খোঁজ।
এর আগে লেবাননের বৈরুতে বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর সদর দপ্তরের কমান্ডার সুহেল হুসেইনকে হত্যার দাবি করে ইসরাইল। ৭ অক্টোবর হামলায় তিনি নিহত হন বলে দাবি করা হয়েছে।
একনজরে হাশেম সাফিউদ্দিন
হাশেম সাফিউদ্দিন হিজবুল্লাহর নির্বাহী কাউন্সিলের প্রধান। গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক বিষয় দেখভাল করা তার দায়িত্ব। তিনি গোষ্ঠীটির জিহাদ কাউন্সিলেরও সদস্য। নিজেদের সামরিক অভিযানের ব্যবস্থাপনা করাই এই কাউন্সিলের কাজ।
সাফিউদ্দিন প্রয়াত নাসরুল্লাহর চাচাতো ভাই। নাসরুল্লাহর মতো তিনিও ধর্মীয় পণ্ডিত। তিনিও মাথায় কালো পাগড়ি পরেন।
২০১৭ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাফিউদ্দিনকে সন্ত্রাসী তকমা দেয়। গেলো জুনে ইসরাইলের হামলায় হিজবুল্লাহর এক কমান্ডার নিহত হওয়ার পর তিনি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। ওই কমান্ডারের দাফন অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ‘(শত্রুদের) কান্না ও বিলাপের জন্য প্রস্তুত হও।’
সাফিউদ্দিনের বিবৃতিতে প্রায় সময় হিজবুল্লাহর সামরিক অবস্থানের প্রতিফলন থাকে। বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলি দহিয়েহ এলাকায় কিছুদিন আগে এক সফরে সাফিউদ্দিন বলেছিলেন, ‘আমাদের ইতিহাস, আমাদের বন্দুক ও আমাদের রকেট আপনাদের সঙ্গে রয়েছে।’
কেএস//