আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

‘বিদ্যুৎ বিপর্যয় স্বাভাবিক ব্যাপার, কারিগরি ত্রুটি ঘটতেই পারে’

‘বিদ্যুৎ বিপর্যয় স্বাভাবিক ব্যাপার, কারিগরি ত্রুটি ঘটতেই পারে’

বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ উদঘাটনে গঠিত দুইটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। প্রকৃত কারণ উদঘাটনে কিছুটা সময় লাগছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই টেকনিক্যাল ত্রুটি রয়েছে। বললেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ঘোড়াশাল থেকেই এ বিপর্যয় ঘটেছে। এ ধরনের বিপর্যয় রোধে জাতীয় গ্রিডকে দুই বছরের মধ্যে স্মার্ট গ্রিডে পরিণত করার কাজ চলছে। এখন অটোমেশনে যেতে হবে। জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় হলেও গ্রিড সিস্টেমে কোনো ড্যামেজ হয়নি।

তিনি বলেন, এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। এ ধরনের কারিগরি ত্রুটি ঘটতেই পারে। ভবিষ্যতের জন্য এ ঘটনা সতর্কবাণী হিসেবে কাজ করবে।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, তবে বিএনপি নেতাদের মন্তব্যে আশঙ্কা বাড়ছে। এ রকম ঘটনা আরও ঘটবে বলে বিএনপি নেতারা যে মন্তব্য করেছেন, তাতে নাশকতার আশঙ্কা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি নেতারা সমালোচনা করলেও তাদের আমলে ১৫-১৬ ঘণ্টা লোডশেডিং হতো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পিজিসিবি'র যে পরিমাণ অগ্রগতি হওয়ার কথা ছিল সেটি হয়নি। পিজিসিবিকে আরও আধুনিক মানের করার প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

এর আগে বুধবার (৫ অক্টোবর) পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াকুব ইলাহী চৌধুরী জানান, গতকাল রাত ১০টা থেকেই স্বাভাবিক হতে শুরু করে পরিস্থিতি। রাতে সব এলাকায় বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব না হলেও পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।

এদিকে দেশব্যাপী গ্রিড বিপর্য়ের কারণ অনুসন্ধানের জন্য পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছেও বলে জানান তিনি। 

গেলো মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ২টার পর জাতীয় গ্রিডের পূর্বাঞ্চলে (যমুনা নদীর এপার) বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়। এতে একযোগে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

 

বিপ্লব আহসান 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন বিদ্যুৎ | বিপর্যয় | স্বাভাবিক | ব্যাপার | কারিগরি | ত্রুটি | ঘটতেই | পারে