বিনোদন

সালমানের কারণেই কি বাবা সিদ্দিকী খুন হলেন?

বলিউড অভিনেতা

ভারতের মুম্বাইয়ের রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকীকে। শনিবার সন্ধ্যায় পূর্ব বান্দ্রায় ছেলের অফিসের বাইরে আততায়ীদের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

এরই মধ্যে রবিবার (১৩ অক্টোবর) লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং সদস্যের একটি ফেসবুক পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে বলা হয়েছে, বলিউড অভিনেতা সালমান খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং দাউদ ইব্রাহিমের মতো আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের সঙ্গে যোগযোগ রাখার কারণে বাবা সিদ্দিকীকে টার্গেট করা হয়েছে।

পোস্টে লেখা হয়েছে, ১ওম, জয় শ্রী রাম, জয় ভারত। আমি জীবনের সারমর্ম বুঝি এবং সম্পদ এবং শরীরকে ধূলিকণা মনে করি। আমি কেবলমাত্র কর্তব্যকে সম্মান জানিয়ে যা সঠিক তা করেছি। সালমান খান, আমরা এই যুদ্ধ চাইনি। কিন্তু আপনার কারণেই ভাইকে প্রাণ দিতে হল। আজ বাবা সিদ্দিকির ভদ্রতার মুখোশ বন্ধ হয়ে গেছে। এক সময় তিনি দাউদের সঙ্গে (মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম) এর অধীনে ছিলেন। তার মৃত্যুর কারণ বলিউড, রাজনীতি এবং সম্পত্তির লেনদেনে দাউদ এবং অনুজ থাপনের সঙ্গে সম্পর্ক।

পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, কারো সঙ্গে আমাদের কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। তবে সালমান খান বা দাউদ গ্যাংকে যারা সাহায্য করবে, তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। যদি কেউ আমাদের কোনও ভাইকে হত্যা করে, আমরা জবাব দেব। আমরা কখনই প্রথম হামলা করি না। জয় শ্রী রাম, জয় ভারত, শহিদদের প্রতি স্যালুট।

এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই সালমান খানের অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিজ্যুয়ালগুলিতে সুলতান অভিনেতার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে সুরক্ষা কর্মীদের দেখা গেছে সাধারণ সময়ের থেকে আরও বেশি মাত্রায়।

গেল কয়েক বছর ধরেই একাধিকবার মৃত্যুর হুমকি পেয়ে আসছিলেন সালমান খান। ২০২৩ সালে মোটরবাইকে করে আসা দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুম্বাইয়ের বাসভবনের বাইরে গুলি চালায়।

 

এছাড়াও ২০২২ সালের জুনে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছ থেকে হাতে লেখা নোট পেয়েছিলেন অভিনেতা। যেখানে সতর্ক করে লেখা ছিল, তিনিও গায়ক সিধু মুসেওয়ালার মতো একই পরিণতি ভোগ করবেন। ২০২২ সালের মে মাসে পাঞ্জাবের মানসা জেলায় বিষ্ণোই গ্যাং সিধু মুসেওয়ালাকে খুন করে। এবার একই পরিণতি হলো বাবা সিদ্দিকিরও।

এসআই/