বুয়েনস এইরেসের এল মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির বন্দনায় মুখোরিত হতে দেখা গেলো। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বলিভিয়ার বিপক্ষে ৬-০ গোলের জয় তুলে নেয় আকাশী-নীল জার্সিধারীরা।
ম্যাচের ১৯ মিনিটে লাউতারো মার্তিনেজের পাস পেয়ে কোনোকুনি দৌড়ে বলিভিয়া গোলরক্ষককে একা পেয়ে প্রথম গোল করেন মেসি।
৪৩ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে বল টেনে ডিবক্সের কাছে চলে যান মেসি। শট না নিয়ে অনেকটা ফাঁকায় থাকা মার্তিনেজকে বাড়ান বল। ডান পায়ের টোকায় বল জালে পাঠান ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার।
গোলটায় যে তার থেকেও মেসির অবদান বেশি সেটি বুঝতে পারেন মার্তিনেজ। তাই তো দর্শকদের উদ্দেশ্যে বারবার দেখিয়ে দেন মেসিকে।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে মাঝ মাঠে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। সেখান থেকে মেসির দূরপাল্লার কিক খুঁজে নেয় হুলিয়ান আলভারেজকে। ডান পায়ের শটে বল জালে পাঠান আতলেতিকো মাদ্রিদ স্ট্রাইকার।
৬৯ মিনিটে নাহুয়েল মলিনার পাস থেকে আর্জেন্টিনার চতুর্থ গোলটি থিয়াগো আলমাদার। দুই অ্যসিস্ট ও এক গোল করা ৩৭ বছর বয়সী মেসি এরপর করেন আরও দুই গোল।
৮৪ মিনিটে এজেকুয়েল পালাসিওসর পাস পেয়ে ড্রিবলিং করে এগিয়ে গিয়ে বাঁ পাশের পোস্ট ঘেঁষে বল জালে পাঠান মেসি।
দুই মিনিট পরই ম্যাচের শেষ গোল, পাশাপাশি হ্যাটট্রিক তুলে নেন ইন্টার মায়ামি তারকা। ডান দিক দিয়ে কাট ইন করে ঢুকে নিকো পাজের সঙ্গে ওয়াল–পাস খেলে বাঁ পায়ের সেই শটে দারুণ এক গোল করলেন মেসি।
আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির করা ১০ম হ্যাটট্রিকের সাথে দুই অ্যাসিস্টে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ৬-০ ব্যবধানে জয় পায় আর্জেন্টিনা। এছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি হ্যাটট্রিকের গৌরবও এখন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির।
এম এইচ//