টেসলার স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং প্রযুক্তি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন সড়ক নিরাপত্তা সংস্থা ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএইচটিএসএ)। ২০১৬ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে তৈরি প্রায় ২৪ লাখ টেসলা গাড়ি এই তদন্তের আওতায় এসেছে। স্ব-ড্রাইভিং সিস্টেমে সম্ভাব্য সমস্যা এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে এই তদন্ত করা হচ্ছে।এটি যাতে ভবিষ্যতে বড় ধরনের গাড়ি প্রত্যাহারের কারণ না হতে পারে তার জন্য এই তদন্ত। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেসলার স্ব-ড্রাইভিং সফটওয়্যার এফএসডি এর ব্যবহারে চারটি দুর্ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে, যার মধ্যে কুয়াশা বা সূর্যের আলোয় রাস্তার দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর একটি ঘটনায় পথচারী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন এবং আরেকটি ঘটনায় একজন ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
তদন্তকারী সংস্থা এনএইচটিএসএ’র লক্ষ্য হলো, টেসলার স্ব-ড্রাইভিং সিস্টেম এই পরিস্থিতিতে ঠিকভাবে কাজ করতে পারে কিনা তা যাচাই করা এবং একই ধরনের অন্যান্য ঘটনা পর্যালোচনা করা। যদিও এই সফটওয়্যারকে "সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং" বলা হয়, বাস্তবে এটি আংশিক স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম হিসেবে কাজ করে।
এই ঘোষণা আসে ঠিক এক সপ্তাহ পর যখন ইলন মাস্ক তার নতুন সাইবারক্যাব প্রজেক্ট উন্মোচন করেন। যেখানে ২০২৭ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় রোবোট্যাক্সি বাজারে আনার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। তবে বিশ্লেষকরা এই প্রকল্প নিয়ে কিছুটা সন্দিহান, যার ফলে টেসলার শেয়ার মূল্য সামান্য হ্রাস পেয়েছে।
গুগলের ওয়েমো সিস্টেমের মতো টেসলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলো লিডার এবং রাডারের মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্ব-ড্রাইভিং সিস্টেম তৈরি করেছে। অন্যদিকে ইলন মাস্কের টেসলা মূলত ক্যামেরা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর নির্ভর করে কম খরচে স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং প্রযুক্তি সরবরাহের চেষ্টা করছে।
জেডএস/