আপনার জীবনযাত্রায় কিছু ছোট পরিবর্তন এনে দীর্ঘস্থায়ী সুস্থতা পেতে চাইলে খুব সহজ একটি অভ্যাস হলো ভোরে সূর্যোদয়ের আগেই ঘুম থেকে ওঠা। প্রাচীনকাল থেকেই এটি একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণাও বলছে, ভোরে ঘুম থেকে ওঠার রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা।
চলুন জেনে নেই কী কী লাভ হতে পারে এই অভ্যাস থেকে-
১.স্বাস্থ্যকর ডায়েটের জন্য ভোরে ওঠা ভালো : ভোরে ওঠার একটি বড় সুবিধা হলো, আপনি সময়মতো স্বাস্থ্যকর নাশতা করতে পারবেন। দেরিতে উঠলে অনেকেই তাড়াহুড়ো করে ক্যাফেইন নিয়ে বা উপোস অবস্থাতেই বাইরে বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু ভোরে উঠলে মন দিয়ে নাশতা তৈরি করা ও খাওয়ার সুযোগ হয়। সঠিক সময়ে নাশতা করলে শরীরও পর্যাপ্ত শক্তি পায়, এবং স্ন্যাকস বা জাঙ্ক ফুডের প্রতি আকর্ষণ কমে যায়।
২.কর্মশক্তি বৃদ্ধি পায় : ভোরে ওঠা মানেই শরীরে উন্নত নিদ্রাচক্র। পর্যাপ্ত ঘুমের কারণে শরীর উপকারী হরমোন নিঃসরণ করে, যা হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পেশির শক্তি ফিরে আসে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়ে। ফলে সারাদিন কাজে অনেক বেশি মনোযোগ ও কর্মশক্তি পাওয়া যায়।
৩.সুস্থ ও সুন্দর ত্বক : ভোরে ওঠার আরেকটি সুবিধা হলো, ত্বক সুস্থ থাকে। পর্যাপ্ত ঘুমের পর ত্বক স্বাভাবিকভাবেই সজীব ও উজ্জ্বল হয়। সেই সঙ্গে সকালে কিছুটা সময় পাওয়া যায় নিজেকে যত্ন নেওয়ার জন্য। এতে ত্বকের ডার্ক সার্কেল কমে, হজম ক্ষমতা এবং মেটাবলিজম ভালো থাকে, যা ত্বকের স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৪.ব্যায়ামের জন্য সময় পাওয়া যায় : অনেকেই দিনের ব্যস্ততায় ব্যায়ামের সময় বের করতে পারেন না। তবে ভোরে ওঠার অভ্যাস করলে খুব সহজেই ব্যায়ামের জন্য সময় বের করা যায়। সূর্যোদয়ের আগের ঠাণ্ডা হাওয়া, মনোরম পরিবেশে হাঁটা বা ইয়োগা করার মজাই আলাদা। এতে ফিটনেস ঠিক থাকে এবং শরীর সুস্থ থাকে।
জেডএস/