বায়ার্ন মিউনিখের ডেরাতে অবশেষে বার্সেলোনা প্রবেশ করতে পারলো। সেই ২০১৪-১৫ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের পর বায়ার্নকে হারানো হচ্ছিল না বার্সার। মাঝে ৯ বছর চলে গেছে, যেখানে হওয়া প্রতিটি ম্যাচই হেরে গেছে বার্সেলোনা। এবার সেই বায়ার্নকে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ৪-১ গোলে হারিয়ে দিল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
হান্সি ফ্লিক নামটা জড়িয়ে আছে বায়ার্নের সাথে। তিনি জার্মান ক্লাবটির কোচ ছিলেন বার্সেলোনার বড় পরাজয়ের দিনেও। অর্থাৎ ২০১৯-২০ মৌসুমে বায়ার্নের সঙ্গে ৮-২ গোলে পরাজিত হওয়ার দিন, যা বার্সেলোনার জন্য বেশ লজ্জার হয়ে উঠেছিল। এবার ফ্লিক বার্সার ডাগআউটে, আর তার হাত ধরেই বায়ার্নকে হারিয়ে দিলো স্প্যানিশ ক্লাবটি। এভাবেই বোধহয় ইতিহাস ঘুরতে থাকে।
চ্যাম্পিয়নস লিগে বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতের ম্যাচে বার্সার হয়ে সবচেয়ে বড় পারফর্মার হয়ে রইলেন রাফিনিয়া। এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার এক মিনিটের কম সময়ের মধ্যে প্রথম গোলটি করেন। এরপর করেছেন আরও ২ গোল, অর্থাৎ হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে তবেই ৭৫ মিনিটে গিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। বার্সার হয়ে আরেকটি গোল এসেছে রবার্ট লেভানডফস্কির পা থেকে। এই লেভানডফস্কিও একসময় বায়ার্নের হয়ে খেলেছেন।
পুরো বার্সেলোনা দল যেভাবে খেলেছে গত রাতে, তা সমর্থকদের জন্য দারুণ আনন্দের। রক্ষণভাগ সামলিয়ে মধ্যভাগে দারুণ শৈল্পিক হয়ে উঠেছিল দলটি। অনেকে খুঁজে নিয়েছেন তাদের সেই পুরোনো বার্সেলোনাকে। তবে এই বার্সেলোনা তারুণ্যের, আর সেই তারুণ্যের ‘স্পিরিট’ খুব ভালোভাবেই কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করে উঠতে সক্ষম হয়ে উঠছে দলটি বারবার।
বায়ার্নের হয়ে একমাত্র গোলটি এসেছে হ্যারিক কেইনের পা থেকে, ম্যাচের ১৮ মিনিটের মাথায়। সেসময় ম্যাচে সমতা নিশ্চিত করেছিল বায়ার্ন। তবে সেই সমতা শেষ পর্যন্ত আর থাকেনি। ব্যবধান ৪-১ নিশ্চিত করে তবেই মাঠ ছেড়েছে স্প্যানিশ লিগের শীর্ষ দল।
এম এইচ//