আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ভোলায় ৪টি কূপ খনন করা হবে এবং ২০২৬ থেকে ২৮ সালের মধ্যে জেলায় আরও ১৪টি গ্যাসকূপ খননসহ মোট ১৮টি কূপ খনন করা হবে বলে জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে ভোলার ইলিশা-১ গ্যাসক্ষেত্র পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, সবগুলো কূপ খনন হবে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। যার কাছ থেকে ভালো প্রস্তাব পাব তাকেই দেয়া হবে। ভোলায় আবিষ্কৃত গ্যাসকে কীভাবে পূর্ণ ব্যবহার করা যায় সেটি নিয়ে সরকারও কাজ করছে। ভোলায় আরও কয়েকটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্লান্ট করার বিষয়টি সরকারের ভাবনায় রয়েছে।
বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগের বিষয়টি সারা দেশব্যাপী সিদ্ধান্ত হবে। কেউ যদি গ্যাস সংযোগের জন্য টাকা দিয়েও গ্যাস সংযোগ না পেয়ে থাকে তাহলে তার টাকা ফেরত দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন,বর্তমানে বিদেশ থেকে ৬ হাজার কোটি টাকার এলএনজি আমদানি হচ্ছে। পরবর্তীতে ভোলায় যদি আরও বড় গ্যাসের হদিস পাওয়া যায় তাহলে কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যাবে। তাহলে আর এলএনজি আমদানির জন্য ৬ হাজার কোটি টাকা সরকারের আর লাগবে না।
গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপনের বিষয় ফাওজুল কবির খান বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) চেয়ারম্যানকে ভোলায় এসে এ বিষয়টি দেখে যেতে বলবেন। এখানে যদি যদি শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা করা যায় তাহলে সেটিই হবে ভোলাবাসীর জন্য ভালো ব্যাপার। লোকজন চাকরি পাবে। নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে।
প্রসঙ্গত, এ সময় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আই/এ