পাবনার পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহাকর্মযজ্ঞ আবারও শুরু হয়েছে। এতে নদীর তীরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। কৃষকের শত শত বিঘা কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর ভবানিপুরের পদ্মা নদীতে চলছে এই অবৈধ বালু উত্তোলন।
জানা যায়, বালু উত্তোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাবনা সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের বিএনপিপন্থী সাবেক চেয়ারম্যান হযরত আলী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এর আগে পাবনার ভাঁড়ারায় আওয়ামী লীগ নেতাদের নেতৃত্বে বালু উত্তোলন চলছিল কিন্তু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর তা দুই দফায় বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেটির নিয়ন্ত্রণ নেন দোগাছী ইউনিয়নের বিএনপিপন্থী সাবেক চেয়ারম্যান হযরত আলীসহ কয়েকজন বিএনপি নেতা।
মনিরুল মোল্লা, সুমন প্রমাণিক, সিরাজুল ইসলামসহ একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, আমাদের শত শত বিঘা কলার বাগান নদীতে ধসে যাচ্ছে। আমরা কোথায় যাবো? সবাই তো জানে কিন্তু ব্যবস্থা নেয় না। আমরা সেখানে গিয়ে কিছু বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমাদের জমি, আমাদেরই বাগান এই বালু কাটার জন্য নদীতে চলে যাচ্ছে। আমাদের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই বলার নেই।
দোগাছী ইউনিয়নের বিএনপিপন্থী সাবেক চেয়ারম্যান হযরত আলী তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা পাবনার মধ্যে কাটা হচ্ছে না, এটা কুষ্টিয়ার হরিপুর এলাকায়। আমিও গিয়ে দেখেছিলাম। কৃষকরা ভুলভাবে আমার নাম বলতেছে।
এ ঘটনায় পাবনার লক্ষীকুণ্ডা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আকিবুল ইসলাম বলেন, কবে থেকে কারা করছে আমি কিছুই জানি না। আপনার কাছ থেকে শুনলাম। এর বেশি কিছু জানি না, আমার কাছে তথ্য নেই।
পাবনা সদর উপজেলার নির্বাহী (ইউএনও) শামীমা সুলতানা বলেন, আমরা জানি না, জানলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতাম। এখন যেহেতু জানলাম আমরা অভিযান চালাবো। অবৈধ বালু মহলের ব্যাপারে আমাদের ডিসি স্যারের কঠোর নির্দেশনা আছে।
এম এইচ//