জাতীয়

গণঅভ্যুত্থানকে পাশ কাটিয়ে সংবিধান প্রণয়নের সুযোগ নেই : আলী রিয়াজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে এর বাইরে গিয়ে বা এই ইতিহাসকে পাশ কাটিয়ে আমরা জাতি হিসেবে কিছুই করতে পারব না। আমি মনে করি চব্বিশের গণমানুষের বিপ্লবকে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করা শুধু জরুরিই নয়, অনিবার্যও বটে বলে মন্তব্য করেছেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান আলী রিয়াজ।

রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদের এলডি হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে  এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রিয়াজ বলেন,নিঃসন্দেহে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পেছনে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন আছে। সেটা তো নিঃসন্দেহে ডকুমেন্টেড হতে হবে।  জনআকাঙ্খার বাস্তবায়ন ঘটাতে চাইলে নিঃসন্দেহে সংবিধানে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বিষয়টি রাখতে হবে। গণঅভ্যুত্থাণ না হলে এই কমিশন হতো না, এমনকি তিনিও এখানে উপস্থিত হতে পারতেন না।

তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনসহ বর্তমানে যা কিছু হচ্ছে সবকিছুই হাজারো মানুষের আত্মদানের ফসল। ফ্যাসিবাদীরা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য যা যা করেছে এবং তার বিপরীতে সাধারণ ছাত্র-জনতা যে ভূমিকা পালন করেছে, তা যদি উল্লেখ না থাকে তাহলে সংবিধানে তারা কী লিপিবদ্ধ করবেন? এতো মানুষের আত্মত্যাগ অবশ্যই লিপিবদ্ধ অবশ্যই করতে হবে।

সংবিধান প্রণয়নে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিটিতে যারা আছেন, তারা প্রত্যেকেই সংবিধান নিয়ে দীর্ঘ বছর যাবৎ কাজ করেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, গত প্রায় দুই-আড়াই বছর যাবৎ তিনি চেষ্টা করছেন সংবিধানটাকে বোঝার। সুতরাং এই কমিশনকে অভিজ্ঞতাহীন বলার কোনো সুযোগ নেই।

 

কমিশন এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বা নেবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কমিশনের প্রধান হিসেবে তারও যদি কোনো ব্যক্তিগত অভিমত থাকে সেটি কমিশনকে জানাবেন সবমিলিয়ে কমিশনই সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সংবিধান