আইন-বিচার

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে রুলের শুনানি আজ

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আজ বুধবার (৫ নভেম্বর)। সেখানে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপিত হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে।

গেলো ৩০ অক্টোবর প্রথম দিনের শুনানির পর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য ৬ নভেম্বর দিন ঠিক করেছিলেন।

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি গেলো আগস্টে রিট করেছিলেন। অন্য চার আবেদনকারী হলেন- তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।

রিটে পঞ্চদশ সংশোধনী স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক শুনানির পর গত ১৯ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।

গত ২০ অক্টোবর জারি করা রুল শুনানিতে তুলতে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চে উত্থাপন (মেনশন) করে রিট আবেদনকারী পক্ষ। পরদিন রিটটি আদালতের কার্যতালিকায় তোলা হয়। সেদিন ৩০ অক্টোবর রুল শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। সেই ধারাবাহিকতায় ওই দিন শুনানির পর আজ পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।

পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল সমর্থন করে তাতে ইন্টারভেনার (সহায়তাকারী) হিসেবে যুক্ত হতে ২৮ অক্টোবর আবেদন করেন বিএনপি মহাসচিব। ওই দিনই তার আবেদনটি মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে গত ২২ অক্টোবর একই আবেদন করে রুলে যুক্ত হন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। মঙ্গলবার আবেদন করে আরও যুক্ত হয়েছেন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যান আল্লামা ইমাম হায়াত।

২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়া হয়।

জেএইচ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী