বিশ্ববিদ্যালয় দলীয় রাজনীতি চর্চার জায়গা হতে পারে না। দলীয় লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির বদলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস বলেন, “আমরা আমাদের প্রতিনিধি তৈরি করবো, নেতা তৈরি করবো না। গত ১৬ বছরে যখনই কেউ নেতা হয়েছে- তার পা মাটি স্পর্শ করেনি। আমরা ওই ধরনের কোনও নেতা চাই না।”
তিনি বলেন, যদি রাজনৈতিকভাবে কাউকে সচেতন করতে তুলতে হয়, যদি উত্তরবঙ্গের নেতৃত্ব তৈরি করতে চান। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেন। যখন দলীয় লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি হয়- সেই সময়ে যদি কাউকে নেতা মনোনয়ন দেয়া হয় (নির্বাচিত নয়), ওই নির্দিষ্ট নেতার মধ্যে একটি জিনিস থাকে, যে তাকে নেতা বানিয়েছে তাকে কীভাবে সন্তুষ্ট করা যায়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আইএস, আল কায়দার মতো হাছান মাহমুদ কোনও একটি জায়গা থেকে ভিডিও বার্তা দিয়েছে। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে তারা বিএনপির সঙ্গে কাজ করতে চায়।
তিনি বলেন, কোনও কারণে আবার যদি ফ্যাসিস্ট সরকার, কোনও একটি দোসর, অনুচর যদি রাষ্ট্র কাঠামোতে অনুপ্রবেশ করে সর্বপ্রথম যাকে টার্গেট করবে, তারা হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পরে জেনারেশন কনফ্লিক্ট হচ্ছে। যাদের দীর্ঘ রাজনীতির অভিজ্ঞতা রয়েছে, তারা তরুণ প্রজন্মের কৃতিত্ব অবজ্ঞার সুরে দেখছে। গত পরশুদিন বিএনপির প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ মির্জা আব্বাস বলেছেন যদি পিতার আগে সন্তান হাঁটে তাহলে দেশ নাকি ধ্বংস হয়ে যায়।
এ ছাত্র নেতা বলেন, তিনি বিনয়ের সঙ্গে বলছেন পিতা যখন গত ১৬ বছর তার রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল, পিতাকে যখন রাস্তায় নামতে দেওয়া হচ্ছিল না, তখন সন্তানরাই গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিল।
জ্যেষ্ঠ্য রাজনীতিবিদদের অভিজ্ঞতা আর তরুণের অকুতোভয় মনোভাব দিয়ে ছাত্ররা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চায় বলেও জানান এ ছাত্র নেতা।
আই/এ