জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া রিকশা চালক আল আমিন নিখোঁজের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও তার কোন সন্ধান মিলেনি। পরিবারের ধারণা তাকে হত্যার পর লাশ গুম করে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় পঞ্চগড় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আসামী করে মামলা করেছেন তারা বাবা মনু মিয়া।
রোববার (১০ নভেম্বর) পঞ্চগড় সদর থানায় তিনি এই মামলা করেন বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আল আমিনের (২১) বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলা দর্জিপাড়া এলাকায়। গত ৫ আগস্ট সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে পঞ্চগড় চৌরঙ্গী মোড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেন তিনি। দুপুরে দুইজনের সাথে বাড়ি ফেরার পথে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব পাটোয়ারী প্লাবনের বাড়ি সামনে তাকে আটক করা হয়।
পরে আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশে তার উপর হামলা করা হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আল আমিনকে এলোপাতারি আঘাত করা হয়। এরপর তাকে টেনে হিচরে ছাত্রলীগ নেতা প্লাবনের বাড়ির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। আল আমিনের সাথে থাকা রায়হানুল ইসলাম রিফাত ও সুজন ইসলামকে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে রাতে বাড়ি না ফিরলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে আল আমিনের পরিবার। গত ১৪ আগস্ট থানায় সাধারণ ডায়েরিও করে তারা।
মামলায় সাবেক রেলপথ মন্ত্রী ছাড়াও পঞ্চগড়-১ আসনের আওয়ামীলীগের সাবেক সাংসদ নাঈমুজ্জামান ভূইয়া ও মজাহারুল হক প্রধান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. নোমান হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাকিব পাটোয়ারী প্লাবন, সহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
আই/এ