জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের নির্মান কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরসহ ৩ দফা দাবি ও ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির দাবি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণপদযাত্রা করছেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে নিজেদের দাবিগুলো উল্লেখ করে স্মারকলিপি প্রদান করবেন তারা।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই পদযাত্রা শুরু হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক’শো শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। আন্দোলনের সমর্থনে বেশ কিছু শিক্ষকদেরও দেখা গেছে।
শিক্ষার্থীরা তাদের স্লোগানে ধ্বনিত করতে থাকেন, ‘আমি কে তুমি কে, জবিয়ান জবিয়ান’, ‘মুলা না ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস ক্যাম্পাস’, ‘আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘অধিকার না অন্যায়, অধিকার অধিকার’
শিক্ষার্থীদের দাবি ৩ টি হলো; স্বৈরাচারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ৭ দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসাবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ করতে হবে; শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসতে হবে যে সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল); অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে।
অন্যদিকে গত ৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ প্রদান ও অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি সুবিধা দেওয়ার জন্য অর্থ সংস্থান নিশ্চিত করতে হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্প সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে ইউজিসি। এই প্রস্তাবনার অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে পাইলট প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা বলছে, এই প্রকল্পে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
এম এইচ//