হঠাৎ করেই ফের আলোচনায় ঢাকাই শোবিজের পরিচিত দুই মুখ-উপস্থাপক রাফসান সাবাব ও সংগীতশিল্পী জেফার রহমান। তাদের নিয়ে এতদিন ধরে বহু প্রেম জল্পনা চলে এসেছে।গুঞ্জন রয়েছে, গোপনে তারা বিয়েও সেরে ফেলেছেন।
গায়িকা জেফারের কারণেই নাকি চিকিৎসক সানিয়া এশার সঙ্গে সংসার জীবনের ইতি টেনেছেন রাফসান। এবিষয়ে তারা এখনও প্রকাশ্যে কিছু বলেন নি। তবে সম্প্রতি থাইল্যান্ডে তাদের একসঙ্গে যাওয়া, একান্তে সময় কাটানোর মুহূর্ত তাদের প্রেমের সম্পর্ককে যেনো সিলমোহর দিয়ে দিয়েছে।এমনটাই মনে করছেন নেটিজেনদের অনেকে।
গেলো শুক্রবার ব্যাংককের একটি শপিং মলের ফুড শপের ভেতরে দেখা মেলে রাফসান ও জেফারের। সেখানে তারা পাশাপাশি বসে পছন্দের খাবারের অর্ডার দিচ্ছিলেন। অনেক খোশমেজাজেই ছিলেন তারা। আর সে থেকেই সংবাদের শিরোনাম হন, আর নতুন করে শুরু হয় তাদের প্রেম চর্চা।
এখনও ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন কি না জেফার, তা জানা যায়নি। তবে এই মুহূর্তে কোথাও না কোথাও অবকাশ যাপনে ব্যস্ত রয়েছেন এই গায়িকা। তা হতে পারে কোনো এক সমুদ্র সৈকত। শুক্রবার সকালে জেফারের একটি পোস্ট এমনই ধারণা দেয়।
সেই পোস্টে জেফার গাড়িতে বসে নিজের একটি সেলফি তোলেন। ক্যাপশনে লেখেন, ‘ব্রোনজড এন্ড ব্লিসড আউট বাই বিচ’। গায়িকা বোঝাতে চেয়েছেন হয়ত, সমুদ্র বিলাসের জন্য বেরিয়েছেন তিনি।
কিন্তু নেটিজেনদের তো আর চুপ রাখা যায় না। প্রেম গুঞ্জনের মাঝে জেফারের সেই পোস্টে মৌমাছির বহরের মতো মন্তব্য ছুটে আসতে থাকে নেটিজেনদের। যেখানে প্রায় সবার একটাই প্রশ্ন ছিল, ‘সাথেরটা কই?’
বুঝতে বাকি নেই, মজার ছলে হলেও রাফসান সাদাবের কথাই বুঝিয়েছেন তারা। নাম তুলেও জিজ্ঞাসা করেছেন অনেকে। লিখেছেন, ‘রাফসান কোথায়?’
মশকরা জেফারও কম জানেন না। সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধু রাফসানকে মন্তব্য ঘরে মেনশন দিয়ে নেটিজেনদের উদ্দেশে জবাব দিলেন জেফার। লিখেছেন, ‘রাফসান, সবাই তোমাকে খুঁজছে!’
আর রাফসানও মজা নেওয়ার বেলায় যেন আরেক ওস্তাদ। জেফারের সেই কমেন্টের উত্তরে লেখেন, ‘আমি 'একান্ত' সময় কাটাতে ব্যস্ত, সেটা সবাই জানে।’
২০১০ সালে ইংরেজি গানের মাধ্যমেই বেশ আলোচনায় আসেন জেফার রহমান। ইংরেজি গানের একক অ্যালবাম থাকা এই সংগীতশিল্পী মৌলিক কিছু বাংলা গানও উপহার দিয়েছেন। প্রযোজনার পাশাপাশি জাতীয় পুরস্কার পাওয়া সিনেমা ‘ন ডরাই’-এ প্লেব্যাক করেছেন।
কণ্ঠ ও ইউনিক ফ্যাশনের কারণে অন্যরকম পরিচিতি পাওয়া জেফারের সম্প্রতি অভিনয়ে অভিষেক হয়েছে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী’সিনেমায় তার বিপরীতে রয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।
অন্যদিকে, উপস্থাপনা দিয়ে পরিচিতি পেয়েছেন রাফসান সাবাব। টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিকের সঙ্গে তাঁর কাজের সুযোগ হয়। ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করেন‘টেন মিনিটস স্কুল শো’র।
কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করেন। সবশেষ ইউটিউব শো ‘হোয়াট আ শো’ তাঁকে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি এনে দেয়।