জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অটোরিকশার ধাক্কায় আফসানা করিম রাচি নিহতের ঘটনায় আরজু নামের এক রিকশা চালককে আটক করা হয়েছে। গেলো রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ২ টার দিকে আশুলিয়া থানা পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
এর আগে গতকাল দুপর ২ টার দিকে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের গেরুয়া থেকে তাকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। পরে দিবাগত রাত ২টায় তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন সূত্র ধরে আরজুকে আহতাবস্থায় খুঁজে পাই, তার বাম হাতে খুব ব্যথা ছিল। এছাড়া তার গলার পাশেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ৷ যদিও সে বলেছে ওই ব্যাথা তার ১৫ দিন আগের ব্যথা। পরবর্তীতে চিকিৎসককে দেখানো হলে খুব সম্প্রতি ব্যথা বলে নিশ্চিত করে চিকিৎসক। সেদিনের দুর্ঘটনা থেকেই সে আঘাত পেয়েছে বলে আমাদের ধারণা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিকশাচালক আরজু গণমাধ্যমকে বলেন, আমি রিকশা চালাই না। গত ১৫ দিন আগে থেকে আমার হাতে প্রচণ্ড ব্যথা ছিল। রিকশার ব্যাটারি একটু খারাপ ছিল দেখে কম দামে বিক্রি করে দিয়েছি। আমি ওই দিন জাহাঙ্গীরনগরে ছিলামই না।
তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অলক কুমার দে বলেন, তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন। তার ব্যবহৃত মোবাইলটির লোকেশন সেখানে পাওয়া গেছে। শুধু সন্ধ্যায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ছিলেন, দিনের বাকি সময় তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলেন। ঘটনার পর তিনি রিকশাটি বিক্রির চেষ্টা করলে সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। তার কথাবার্তায় অসংলগ্নতা লক্ষ্য করা গেছে। ফলে তাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নতুন কলা ভবনের সামনে রিকশার ধাক্কায় আহত হন আফসানা করিম রাচি। এরপর এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
এএম/