মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লাখো রোহিঙ্গাদের ‘প্রত্যাবাসন’ যেখানে একমাত্র পথ সেখানে নতুন করে আলোচনায় চলে এসেছে তাদের আত্তীকরণের বিষয়। তবে বাংলাদেশ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণ বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়। রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণ বাংলাদেশের জন্য বিবেচনাযোগ্য বিকল্পও নয়।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ঢাকা প্রধান ল্যান্স বনেউ ‘র এর সঙ্গে সাক্ষাতে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র সচিব রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের উদারতা, এলাকার নিরাপত্তা উদ্বেগ, পরিবেশগত অবক্ষয় এবং ওই এলাকায় এত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়ার কারণে জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের বিষয়ে আলোকপাত করেন।
ঢাকায় আইওএম প্রধানের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিবের আলোচনায় অভিবাসনের নিয়মিত পথের প্রচার, জিসিএম বাস্তবায়ন ও ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যানের উন্নয়ন, দক্ষ অভিবাসন ও দক্ষতার মিলের জন্য ডাটাবেস উন্নয়ন, ডায়াস্পোরা সম্পৃক্তকরণ, মানবপাচার, প্রত্যাবাসন ও অনিয়মিত পরিস্থিতি এবং মানবিক সংকটে বাংলাদেশি নাগরিকদের পুনর্মিলন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন, তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের সুযোগ, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সংগ্রাম ও চ্যালেঞ্জ এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বৈশ্বিক মনোযোগ আকর্ষণ প্রাধান্য পায়।
পররাষ্ট্র সচিব দায়িত্ব গ্রহণের জন্য তাকে অভিনন্দন জানান এবং নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসনের জন্য গ্লোবাল কমপ্যাক্ট (জিসিএম) বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
আইওএমের প্রধান বাংলাদেশের সঙ্গে সংস্থাটির দীর্ঘ সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন এবং এর কার্যক্রমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠনমূলক ভূমিকার প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব নিয়মিত অভিবাসনের পথ সহজতর করার জন্য আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন, যা আইওএম মহাপরিচালকের এজেন্ডার প্রথম সারিতে রয়েছে।
এমআর//