গাজীপুরে ১০ বছর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়। সম্প্রতি সেই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন তিনি। একই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর যুবদলের সদস্যসচিব মাহমুদ হাসানসহ বিএনপি ও জামায়াতের ৬০ জন নেতা-কর্মী।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১–এর বিচারক রেহেনা আক্তার এ আদেশ দেন।
সবমিলিয়ে গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় হওয়া ৩ টি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন তারেক রহমান।
আদালত সূত্র বলছে, বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ ও নাশকতার অভিযোগ এনে ২০১৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জয়দেবপুর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আবুল হাসেম মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও অভিযোগপত্রে তারেক রহমানকে আসামি করা হয়। এ মামলায় আটজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। দীর্ঘ ১০ বছর শুনানি শেষে বিচারক গতকাল এ রায় ঘোষণা করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, দেশব্যাপী অবরোধ চলাকালে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ৫০-৬০ জন নেতা-কর্মী নাশকতার উদ্দেশ্যে তৎকালীন জয়দেবপুর থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকার কুলিয়ারচর গার্মেন্টসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেন। এতে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।
আইনজীবী মো. সহিদউজ্জামান গণমাধ্যমে বলেন, এজাহারে তারেক রহমানের নাম ছিল না। আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জাহিদ আহসান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানের পরামর্শে রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে এ মামলার চার্জশিটে তারেক রহমানকে জড়ানো হয়েছিল।
আদালতের শুনানিতে বিবাদীপক্ষের আইনজীবী মো. সহিদউজ্জামান, মোস্তফা কামাল, সিদ্দিকুর রহমান, জাকিরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, নাছির উদ্দিন, আনোয়ার হোসেনরা উপস্থিত ছিলেন।
এম এইচ//