শুরু হলো মহান বিজয়ের মাস। ১৯৭১ সালে এই মাসেই এক বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে জাতি হিসেবে নিজেদের জন্য বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাম সংযোজিত হয়েছিলো।
বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ ঘটনা হলো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিপক্ষে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এই ডিসেম্বরেই ধরা দেয় স্বাধীনতা। তাই ডিসেম্বর মাস বাঙালি জাতিসত্তা আর নিজস্ব ভূমির গৌরবদীপ্ত বিজয় ও অহংকারের মাস।
কয়েক মাস আগে ছাত্র-জনতার বিজয়ের পর এবারের বিজয়ের মাসে থাকছে নতুন উদ্দীপনা। দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গণতন্ত্রের যে প্রত্যাশা তাও ধ্বনিত হবে দেশবাসীর মুখে।
প্রতি বছরের মতো এবারও বিজয়ের মাসে দেশবাসী বিজয়ের আনন্দে উচ্ছ্বসিত হবে। শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও শোকে মুহ্যমান হয়ে মাথা নোয়াবে অগণিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি। নানা আয়োজনে সবার চেতনায় ধ্বনিত হবে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাথার স্মৃতিচারণ আর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতীয় পুনর্জাগরণ, মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয়-সামাজিক-আর্থিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মানবোধ জাগানোর লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও দিবসটি পালিত হবে। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে প্রতিটি রাজনৈতিক দল দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বিএনপি, জামায়াত থেকে শুরু করে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বলে জানা গেছে।
এসি/ ওয়াই.এ.এস