ক্ষমতা হারানোর কিছুদিন আগেও শেখ হাসিনা সরকার ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়েছিল। মূলত এস আলমকে টাকা পাচারের সুযোগ করে দিতেই টাকা ছাপানো হয় বলে জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুর রহমান।
রোববার (১ ডিসেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক বিষয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রেস সচিব।
তিনি বলেন, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বের কমিশনের দেওয়া প্রতিবেদন দেখে প্রধান উপদেষ্টা অবাক হয়েছেন। যে লুটপাট হয়েছে তা শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার মতো। এটা টেক্সটবুকে থাকা উচিত। এ টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। এটা একটা ঐতিহাসিক ডকুমেন্ট। এটা সবাইকে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রেস সচিব বলেন, শ্বেতপত্রটি তিন মাসের একটি রিপোর্ট। এ পর্যন্ত যে ডেটা পাওয়া গেছে সে অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। এটা আরও আপডেট হবে। কীভাবে দেশের টাকা লুটপাট হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরে হবে।
সরকারে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপানো প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, নতুন করে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপানোর পরও মূল্যস্ফীতিতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। যে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ছাপা হয়েছে তা চৌবাচ্চার পানির মতো। মূল্যস্ফীতিতে এর সামান্যতম প্রভাবও পড়বে না।
শফিকুর রহমান বলেন, গত ১৫ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ৭ লাখ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে। এই ব্যয়ের ৪০ শতাংশ অর্থ আমলারা লুটপাট করেছে। গত ১৫ বছরে যা হয়েছে তার বিচার করা এই অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
কর্ণফুলী টানেল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু এর ভ্যালুটা কী? সরকার এর খরচটাই তুলতে পারছে না।
আই/এ