বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ৮৭ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি ও ৫৯ বিএমএ স্পেশাল কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন, প্যারেডের অভিবাদন গ্রহণ এবং কৃতি ক্যাডেটদের পুরস্কৃত করেন সেনাবাহিনী প্রধান। এসময় সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল ও আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সেখানে প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটদের উদ্দেশে সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওপর ন্যস্ত হলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব। তিনি মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য একাডেমির কমান্ড্যান্ট, সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা, জেসিও, এনসিও, সৈনিক এবং অসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
দীর্ঘ তিন বছরের কঠোর প্রশিক্ষণ শেষে এই মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ৮৭ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের ২১৩ জন অফিসার ক্যাডেট এবং ৫৯ বিএমএ স্পেশাল কোর্সের ১৪ জন অফিসার ক্যাডেট ও চারজন ট্রেইনি অফিসার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করলেন। ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার আব্দুল্লাহ আল আরাফাত, ৮৭ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সেরা ক্যাডেট হিসেবে অসামান্য গৌরবমণ্ডিত ‘সোর্ড অব অনার’ এবং সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন।
অনুষ্ঠানে বন্ধুপ্রতিম দেশ শ্রীলংকান মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট, দেশি-বিদেশি উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের পিতা-মাতা ও অভিভাবকরা এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এসি//