ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। প্রিন্স মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান। বিষয়টি আজ (৫ ডিসেম্বর) আদালত সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় সূত্র ধরে ২০২২ সালের শুরুর দিকে একসঙ্গে পথচলা শুরু করেন মামুন ও লায়লা। পরবর্বীতে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। যা পাকাপোক্ত করার জন্য দু’জনই একসঙ্গে লায়লার বাসায় থাকা শুরু করেন। সম্পর্ক ঘনিভূত হওয়ার কারণে আইডি, এনআইডি, পাসপোর্টসহ অন্যান্য কাগজপত্রে লায়লার ঠিকানা ব্যবহার করতে থাকেন মামুন। এরপর বিয়ে করবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একই ফ্ল্যাটে বসবাস করতে থাকেন। আর একাধিকবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করেন। যা কিনা প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিলেছে।
এর আগে মামলার অভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, টিকটকার মামুন তাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে লায়লার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। মামুন লায়লাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মত নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন তাকে বিয়ে করবে বলে জানায় তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দেন।
২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে তারা দুইজন একই রুমে থাকতে শুরু করেন।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন লায়লার শয়ন কক্ষে আগের মতো তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীসময়ে বিয়ের বিষয়ে বললে মামুন লাওয়লার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।
আই/এ