হলিউড অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড ফের মা হতে চলেছেন। অভিনেতা জনি ডেপের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে ৭ বছর আগে। এরপর আর কোনো সম্পর্কে জড়ানোর ঘোষণা দেননি হলিউডের এই লাস্যময়ী অভিনেত্রী।
তবে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রকাশ করে বেশ চমকে দিলেন ২০১৬ সালে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ‘গ্রিক গোল্ডেন রেশিও’ অনুযায়ী নির্ধারণ করা বিশ্বের সবচেয়ে নিখুঁত চেহারার অধিকারী এই অভিনেত্রী।
সন্তানের বাবার পরিচয় না জানিয়েই নিজের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এনেছেন অ্যাম্বার হার্ড।
অভিনেত্রী অ্যাম্বারের ঘরে আরও একটি সন্তান রয়েছে। এবার অভিনেত্রীর ঘরে দ্বিতীয় সন্তান আসার সুখবর দেন অ্যাম্বারের এক মুখপাত্র।
সম্প্রতি পিপলস ম্যাগাজিনকে সেই মুখপাত্র বলেছেন, গর্ভাবস্থার বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে।
তাই খুব বেশি বিস্তারিত এখনই জানাতে চাচ্ছি না। তবে অ্যাম্বার তার দ্বিতীয় সন্তানকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
২০২১ সালে সারোগেসির মাধ্যমে প্রথম সন্তান আসে অ্যাম্বারের ঘরে। এখন সেই সন্তানের বয়স ৩ বছর, নাম ওনাঘ পাইজ। একই পরিকল্পনা করে অ্যাম্বার তার দ্বিতীয় সন্তানও আনতে যাচ্ছেন কি না, তা নিয়েও জোর জল্পনা। সেক্ষেত্রে তার দ্বিতীয় সন্তানের বাবা আছেন কি নেই না সে ব্যাপারে কিছুই স্পষ্ট নয়।
অ্যাম্বারের ভক্ত এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রীকে অভিনন্দন জানাতে শুরু করেছেন। তাকে এবং ওনাঘের মঙ্গল কামনাও করেন অনুরাগীরা।
অ্যাম্বার লরা হার্ড ‘ফ্রাইডে নাইট লাইট’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিনয় জীবন শুরু করেন। তবে ২০০৬ সালে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন ‘অল দ্য বয়েস লাভ ম্যান্ডি লেন’ সিনেমায়।২০০৯ সালে পরিচয় হয়‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’ সিনেমাখ্যাত অভিনেতা জনি ডেপের সঙ্গে।
‘দ্য রাম ডায়েরি’ সিনেমার শুটিং সেটে তাদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এরপর দীর্ঘ চার বছর তারা চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১৪ সালের মেট গালাতে বাগদান সারেন জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড। পরের বছর লস অ্যাঞ্জেলেসে ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন।
তবে বিয়েটিা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।বিয়ের দেড় বছর পর জনি ডেপের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় তাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ২০১৬ সালে ডিভোর্সের আবেদন করেন অ্যাম্বার।
অভিযোগ অস্বীকার করলেও ২০১৬ সালের আগস্টে ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ডিভোর্স নিষ্পত্তি করেন আদালত।
বিচ্ছেদ হলেও বিপদ কাটেনি অ্যাম্বার হার্ডের। বিচ্ছেদের দেড় বছরের মাথায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় নারীদের নির্যাতন নিয়ে অ্যাম্বার হার্ড একটি বই লেখেন।
মতামতধর্মী সেই লেখায় অসুখী দাম্পত্যজীবনের নানা কথা তুলে ধরেন ‘অল দ্য বয়েজ লাভ ম্যান্ডি লেন’ ছবির মাধ্যমে প্রথম দর্শকমনে স্থান করে নেয়া অ্যাম্বার।
মতামতধর্মী ওই লেখায় জনি ডেপের নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি অ্যাম্বার।তবে সাব্কে স্বামী জনি ডেপের দাবি ওই লেখার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়েছেন অ্যাম্বার হার্ড এবং তাতে তার মানহানি হয়েছে। এর ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে।
২০১৯ সালে অ্যাম্বার হার্ডের এ লেখার কারণে তার বিরুদ্ধে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মানহানি মামলা করেন জনি। এর জবাবে জনি ডেপের বিরুদ্ধে ১০০ মিলিয়ন ডলারের মামলা করেন অ্যাম্বার।
অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সাবেক স্ত্রী আম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলায় জয়ী হন মার্কিন অভিনেতা জনি ডেপ। আদালতের জুরি সদস্যরা জানিয়েছেন, আম্বার যে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ জনির বিরুদ্ধে এনেছিলেন, তা মিথ্যা এবং অবমাননাকর।
অ্যাম্বারকে আদালত নির্দেশ দেন জনি ডেপকে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে। এর মধ্যে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা এবং বাকি ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার শাস্তি হিসেবে ধার্য করা হয়েছে।
এমআর//