বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার শেষ প্রান্তে মাছ আহরণের সময় ৭৯ জেলে-নাবিকসহ দুটি নৌযান জব্দ করে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। নৌযান দুটি হলো এফভি লায়লা–২ ও এফবি মেঘনা–৫। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নৌযান দুটিকে ভারতীয় নেভীর কাছে হস্তান্তর করেছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকার অদূরে ট্রলারসহ নাবিকদের ধরে নিয়ে যায় বলে মালিক্ষপক্ষ ও নৌপরিবহন অধিদপ্তর নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, এফভি লায়লা–২–এর মালিক প্রতিষ্ঠান এস আর ফিশিং। এফভি মেঘনা–৫ এর মালিক প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেড।
সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন বলেন, ট্রলার দুটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা থেকে এক নটিক্যাল মাইল ভেতরে ১০ দিন ধরে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত ছিল। গতকাল সকাল ১০টার দিকে ভারতীয় কোস্টগার্ডের একটি নৌযান এফভি মেঘনা–৫ ও এফভি লায়লা–২ ধরে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটকের পর তারা ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছেন। নাবিকেরা সবাই ভালো আছে বলে ট্রলারটির ক্যাপ্টেন রাহুল বিশ্বাস বেতারবার্তায় কোম্পানির অন্য ট্রলারে জানিয়েছেন।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, ট্রলার দুটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার কাছেই মৎস্য আহরণে নিয়োজিত ছিল। সেখান থেকে ভারতীয় কোস্টগার্ড নিয়ে যায়। ঘটনার পর বাংলাদেশের কোস্টগার্ডসহ সরকারি সংস্থাগুলো ভারতের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ট্রলার দুটি উদ্ধারে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশি নৌযান নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সরকার অবগত রয়েছে। নৌযানসহ নাবিকদের ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে।
আই/এ