নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে সেন্ট কিটসে এক দিশেহারা চিত্র দেখা গেছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। তবে সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তানজিম হাসান সাকিবের জুটি বাংলাদেশকে লড়াই করার রসদ দিয়েছে। দুজনের ৯২ রানের জুটিতেই দুইশো ছাড়িয়েছে সফরকারীরা। শেষপর্যন্ত ৪৫.৫ ওভারে ২২৭ রানে অলআউট হয় লাল সবুজের দল।
বাংলাদেশ যখন ১১৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল, তখন হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম। ৪৪তম ওভারে রস্টন চেজ নিজের বলে নিজেই তানজিমের ক্যাচ নেন। এই ব্যাটার বিদায় নেন ৪৫ (৬২) রান করে। তার ইনিংসে ৪ টি চার ও ২ ছক্কার মার ছিল।
এই জুটি ভাঙ্গার পর মাহমুদউল্লাহ ফিরে যান পরের ওভারেই, জেইডেন সিলসের চতুর্থ শিকার হয়ে। তিনি ৯২ বলে ৬২ রানে আউট হন। তার ইনিংসে ছিল ২ টি চার ও ৪ টি ছয়ের মার।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই উইন্ডিজ বোলারদের সামনে অসহায় ছিল টাইগার ব্যাটাররা।
শুধু বোলারদের কৃতিত্ব নয়, ভুল শটের পসরা ছিল বাংলাদেশের ইনিংসে। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এক প্রান্তে দারুণ ব্যাট করছিলেন। তিনিও ৪৬ (৩৩) রানে বিদায় নেন। তার ব্যাটে ছিল ৪ টি চার, ২ টি ছক্কা।
তানজিদ যখন ফিরেছেন দলের রান ৬৪, উইকেটের পতন ৪ টি।
এর আগে সৌম্য সরকার, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজরা নিজেদের ভুলেই বিদায় নিয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের উইকেট নিয়েছেন জেইডেন সিলস।
আফিফ ব্যাটিংয়ে এসে আশা জাগিয়েছিলেন। তবে তিনিও ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলীর ব্যাটে প্রথম ম্যাচের মতো কিছু চেষ্টা দেখা যাবে কিনা, তা ভাবতে ভাবতে জাকের ৩ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। আফিফ ও জাকেরের উইকেট নেন গুদাকেশ মোতি।
একপ্রান্তে অল্প অল্প করে দলের রান এগিয়ে নিচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তার সঙ্গে যোগ দেন রিশাদ। তবে ৮ টি বল খেললেও কোনো রান নিতে পারেননি। অভিষিক্ত মারকিনো মাইন্ডলির বলে ক্যাচ দিয়ে কোনো রান না করেই ফিরেছেন রিশাদ। এরপরেই জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম সাকিব।
তাদের জুটি ভাঙ্গার পর শেষদিকে রোমারিও শেফার্ডের এক ওভারে দুইটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৮ বলে ১৫ রান করে আউট হন শরিফুল ইসলাম। নাহিদ রানা অন্যপ্রান্তে ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে জেইডেন সিলস একাই ৪ উইকেট নিয়েছেন। গুদাকেশ মোতি ২ টি উইকেট সংগ্রহ করেন।
এম এইচ//