অন্তঃসত্ত্বা বিউটিশিয়ানকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছে ভুক্তভোগি। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর শুক্রাবাদ এলাকায় গণধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
এর আগে, মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর শুক্রাবাদের একটি বাসায় ওই বিউটিশিয়ান গণধর্ষণের শিকার হন। বাসায় রূপচর্চা সেবা নেয়ার কথা বলে সাভার থেকে ওই নারী বিউটিশিয়ানকে শুক্রাবাদের বাসায় ডাকা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে ওই বিউটিশিয়ানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলেও জানা গেছে।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক তরুণী ওই বিউটিশিয়ানকে ফোন করে কাজ করাবেন বলে ধানমন্ডি ২৮ নম্বরে আসতে বলেন। ওই নারী কাজ করতে সাভার থেকে এসে ধানমন্ডি ২৮ নম্বরে যান। সেখান থেকে ওই তরুণী ওই নারীকে শুক্রাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালের পাশের গলির একটি বাড়ির দোতলার বাসায় নিয়ে যান।
ওই বাসায় থাকা তিন তরুণ প্রথমে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে বিউটিশিয়ানকে মারধর করেন বলে জানিয়ে ওসি বলেন, পরে তারা ওই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। এতে সহায়তা করেন ডেকে আনা তরুণী। পরে রাতে ওই নারীকে রাস্তায় ছেড়ে দেয়া হয়। তিনি সাভারে অবস্থানরত তার স্বামীকে খবর দিলে তিনি শুক্রাবাদে আসেন।
বিউটিশিয়ানের স্বামী বুধবার গণমাধ্যমকে জানান, তার স্ত্রী পারলারে কাজ শিখেছেন। তিনি বাসায় গিয়ে রূপচর্চা সেবা দেন-অনলাইনে এমন একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন।
অনন্যা চৈতী