আন্তর্জাতিক

গুয়ান্তানামো কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন দুই মালেশিয়ান বন্দী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত গুয়ান্তানামো বে সামরিক কারাগার ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত গুয়ান্তানামো বে সামরিক কারাগার থেকে ১৮ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন মালয়েশিয়ার দুই নাগরিক। মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন মোহাম্মদ ফারিক বিন আমিন ও মোহাম্মদ নাজির বিন লেপ। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে তারা মালয়েশিয়ায় ফেরেন।  

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর ) মালয়েশিয়ায়  রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বেরনামা'র বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, দেশে ফেরার পর মোহাম্মদ ফারিক ও মোহাম্মদ নাজিরের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। দীর্ঘদিন পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একত্র হতে পেরে তারা খুশি। এমনটি জানিয়েছেন দেশটির পুলিশের মহাপরিদর্শক রাজারুদিন হুসাইন।  

তিনি আরও বলেন, ২০০২ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বোমা হামলার ঘটনায় দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ওই হামলায় সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছিলেন ফারিক ও নাজির। সমাজে ফেরার আগে দুজনকে পুনর্বাসন ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, এই দুজন কারাবন্দির সহযোগিতার মনোভাব ছিল। তারা বালি বোমা হামলার হোতা হিসেবে অভিযুক্ত এনসেপ নূরজামানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। নূরজামান ‘হামবালি’ নামে বেশি পরিচিত।

এর আগে ১৭ ডিসেম্বর কেনিয়ার এক নাগরিককে গুয়ান্তামো বে কারাগার থেকে নিজ দেশে ফেরানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। মোহাম্মদ আবদুল মালিক বাজাবু নামের ওই ব্যক্তিকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই ১৭ বছর বন্দী রাখা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার তিনি কেনিয়া ফেরেন। ২০০৭ সালে তাকে দেশটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাইন–ইলেভেনের হামলার পর ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ চলার সময় ২০০২ সালে গুয়ান্তানামো বে কারাগার চালু হয়। কিউবার পার্শ্ববর্তী এক মার্কিন  সামরিক ঘাঁটিতে এই কারাগার অবস্থিত। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কমিশনের এক আইনি ব্যবস্থায় এটি পরিচালিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রথাগত আদালতে যে-সব সুযোগ–সুবিধা থাকে, সেখানে সেগুলো নেই। তীব্র সমালোচনার মুখে পরবর্তী সময় গুয়ান্তানামো বে কারাগার বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা । তবে আইনি জটিলতা আর অভ্যন্তরীণ রাজনীতির চাপে ওবামার এ উদ্যোগ সফল হতে পারেনি। 

জেডএস/ 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন গুয়ান্তানামো বে