গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে টায়ারে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। সেই সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন বক্তারা।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তায় টায়ার জালিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।
ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম সেলিম পারভেজ বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্তে ফুলছড়ি-সাঘাটা বাসি হতভম্ব। এবারের মত সুষ্ঠু নির্বাচন এর আগে কখনো হয়নি। জাতীয় পার্টির, জামাত-বিএনপি'র লোকেরা স্বতন্ত্রপ্রার্থীর হয় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন এর ছবি সংবলিত গেঞ্জি গায়ে দিয়ে এরকম নামকতা করেছে।
তিনি বলেন, ঢাকায় থেকে কাদের দেখলেন তদন্ত করে নির্বাচন কমিশনার সেটা জাতীর সামনে তুলে ধরুন।
ফুলছড়ি উপজেলা যুব লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, যে ৫১ টি কেন্দ্রে ঝামেলা হয়েছে সেই কেন্দ্র গুলোর ভোট বন্ধ হবে সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু বাকি ৯৪ টি কেন্দ্রের ফলাফল দেয়া হোক। তিনি বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন। এই নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে কোন নির্বাচন সফল হবে না।
বিক্ষোভকারীরা তাদের বক্তব্যে বলেন, যে কেন্দ্র গুলোতে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে সেইসব কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করে স্থগিতকৃত কেন্দ্রের ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করতে। পরে বিক্ষোভকারীরা উপজেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরবর্তী কর্মসূচীর তারিখ ও সময় পরে জানানো হবে।
উদাখালি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহ্দী মাসুদ পলাশ বলেন, যদি বিএনপি নির্বাচন কে প্রশ্নবিদ্ধ ও বানচালের বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. রুহুল আমিন, ফুলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজহারুল হান্নান, গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলী খান খুশু, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল পারভেজ শালু, ফুলছড়ি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এটিএম রাশেদুজ্জামান রোকন, আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।