আমাদের যতটুকু সার্মথ্য আছে তা দিয়ে পিলখানা হত্যাকাণ্ডসংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব এ ঘটনার সব তথ্য একত্র করা হবে। সারা দেশের মানুষ এ হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী। জাতির পক্ষ থেকে আমরা অনুভব করি যে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার আমাদের করতেই হবে। এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সেনা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার এ কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এত বছর ধরে এ হত্যাকাণ্ডের তথ্য গোপন রাখতে পারা, এটি এক অবিশ্বাস্য বিষয়। আজ আপনাদের কাছ থেকে অনেক বিষয়ে জানতে পারলাম। ’
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপকালে শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাদের দুঃখ-দুর্দশা ও পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার কীভাবে তাদের ওপর মানসিক নিপীড়ন ও হয়রানি করেছে সেসবের বর্ণনা দেন।
সাক্ষাৎকালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু পুনঃতদন্ত দাবি করেন শহীদ সেনা পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি ২৫ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ সেনা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার দাবিও জানান তারা।
তারা জানান, বিচারের দাবি জানাতে গেলে তাদের ওপর অমানুষিক নিপীড়নও করা হয়েছে। সত্য বলা থেকে বিরত রাখতে তাদের ওপর নানা অত্যাচার চালানো হয়েছে। শহীদ পরিবারের সন্তানদের বিনা বেতনে লেখাপড়াসহ শহীদ পরিবারকে দেয়া আরও অনেক প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি বলে জানান তারা।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদসহ আরও অনেকে।
জেডএস/