রাজধানীর শুক্রাবাদে এক পার্লার কর্মীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার দুজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক তাঁর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন মো. রিয়াদ (২৪), ইয়াছিন হোসেন ওরফে সিয়াম (২৩)।
এইচ এম আজিমুল হক বলেন, গ্রেপ্তার তরুণেরা ধর্ষণের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বলেছেন, ধর্ষণের পর ওই নারীকে তাঁরা মারধরও করেছেন। এ ঘটনায় আরো এক তরুণ ও এক তরুণী জড়িত। ওই দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গত মঙ্গলবার বাসায় রূপচর্চা সেবা নেওয়ার কথা বলে সাভার থেকে ওই নারী পার্লার কর্মীকে শুক্রাবাদের বাসায় ডাকা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক তরুণী তাঁকে ফোন করে কাজ করাবেন বলে ধানমন্ডি ২৮ নম্বরে আসতে বলেন। সে অনুযায়ী পার্লার কর্মী ধানমন্ডি ২৮ নম্বরে যান। সেখান থেকে ওই তরুণী তাকে শুক্রাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালের পাশের গলির একটি বাড়ির দোতলার বাসায় নিয়ে যান। এরপর সেখানে রিয়াদ, ইয়াছিনসহ তিনজন ওই পার্লার কর্মীকে ধর্ষণ করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পার্লার কর্মীকে ধর্ষণের পর তিন ধর্ষক তাঁকে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় তুলে দেন। এ সময় তাঁরা ওই নারীর মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যান। যে বাসায় ধর্ষণ করা হয়েছে, সেটি রিয়াদের। ঘটনার সময় তাঁর মা-বাবা বাইরে ছিলেন।
ধর্ষণের শিকার নারী পারলার কর্মী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।
আসাদ ভূঁইয়া
