গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) ও গণঅধিকার পরিষদ দল দুটির একত্রীকরণের বিষয়টি মিথ্যাচার এবং গুজব। এটা দলীয় নেতাকর্মীদেরকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সহ-সমন্বয়ক আরিফ বিল্লাহ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণঅধিকার পরিষদ দীর্ঘ সময় যাবত রাজপথে দেশের জনগণের স্বার্থে যৌক্তিক আন্দোলনে প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে। দলটির মধ্যে ফাটল তৈরি করবার ষড়যন্ত্র চলছিল দীর্ঘ সময় যাবত। সাবেক ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান এই কাজে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে উক্ত কাজে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়াও দলের স্বার্থ বিরোধী বেশ কিছু কর্মকাণ্ডের সাথে ফারুক হাসানের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। তার ফলশ্রুতিতে কয়েকদিন যাবত দলের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা চলতে থাকে।
হঠাৎ করে ২৮/১২/২০২৪ তারিখে ফারুক হাসান রাত আনুমানিক ০৮.৩০ মিনিটে নুরুল হক নুরকে সাথে নিয়ে সিনিয়র যুগ্ম সদস্য তারেক রহমানের কাছে আসেন এবং তাকে দল একত্রিতকরণ বিষয়ে আলোচনা করেন। তারেক রহমান অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, একক কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার বিষয় নয়। এই বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা প্রয়োজন। অতঃপর কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মিয়া মশিউজ্জামান এর বাসায় গিয়ে একই প্রস্তাব ফারুক হাসান এবং নুরুল হক নূর দেন। পরবর্তীতে আহ্বায়ক বলেন দলীয় সিদ্ধান্ত ব্যতীত তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না। পরবর্তী দিন ২৯/১২/২০২৪ তারিখে সন্ধ্যায় ডক্টর রেজা কিবরিয়ার বাসায় গিয়ে প্রস্তাব করেন ফারুক হাসান, তিনিও অস্বীকৃতি জানান। অতঃপর আগামী শুক্রবার ০৩/০১/২০২৪ তারিখ দলীয় সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার ডাক দেওয়া হয়। এজেন্ডা হিসেবে দুটি দল একত্রিত করণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও,অপতৎপরতা ও দলীয় স্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান জড়িয়ে পড়া ও দল ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়। তার ভিত্তিতে একটি অনলাইন মিটিং হয়। উক্ত মিটিংকে ফারুক হাসানকে সদস্য সচিবের পদ ও সাধারণ সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
৩০/১২/২০২৪ তারিখ সকাল ১০ ঘটিকার সময় আহ্বায়ক মহোদয়ের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। অব্যাহতির সংবাদ পেয়ে ফারুক হাসান গণঅধিকার পরিষদ জিওপি ও গণঅধিকার পরিষদ দুটি একত্রিত হয়েছে বলে গুজব রটায় এবং দলীয় নেতাকর্মীদেরকে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করেন।
এখন পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদ একত্রীকরণের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। গণঅধিকার পরিষদের একত্রীকরণ বিষয়টি মিথ্যাচার এবং গুজব।
জেডএস/