আইন-বিচার

তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিল, রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি আজ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চারটি মামলার কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল আবেদনের ওপর আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর রোববার (৫ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গেলো ২৩ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চারটি মামলা বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন।

২০০৭ সালে গুলশান থানায় তিনটি ও ধানমন্ডি থানায় করা একটি মামলাসহ ওই চার মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে তারেক রহমানের করা আলাদা আবেদনের ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে এ রায় দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

রায়ের পর তারেক রহমানের আইনজীবী কায়সার কামাল বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রায় ৮০টি মামলা করা হয়। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এসব মামলা করা হয়। চারটি মামলার কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এসব মামলার এজাহারে তারেক রহমানের নাম নেই, নেই সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ। এ নিয়ে ১৪টি মামলায় যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতের মাধ্যমে তারেক রহমান অব্যাহতি পেলেন।

আইনজীবীদের দেয়া তথ্য অনুসারে, রেজা কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব উদ্দিন ২০০৭ সালের ২৭ মার্চ তারেকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল আমিন কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা সৈয়দ আবু শাহেদ সোহেল চাঁদাবাজির অভিযোগে একই বছরের ৪ মে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। তারেক রহমান ও তার একান্ত সহকারী মিয়া নূরউদ্দিন অপুকে আসামি করে ঠিকাদার আমীন আহমেদ ভূঁইয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে দ্রুত বিচার আইনে ২০০৭ সালের ৮ মার্চ গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। ঠিকাদার মীর জাহির হোসেন ২০০৭ সালের ১ এপ্রিল ধানমন্ডি থানায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে অপর মামলাটি করেন। এই চার মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে তারেক রহমান আলাদা চারটি আবেদন করেছিলেন।

 

জেএইচ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন তারেক রহমানে