যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। সোমবার (০৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দেয়া একাধিক সম্পত্তিতে বসবাসের অভিযোগ উঠেছে টিউলিপ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে।। এসব অভিযোগের পর মন্ত্রী নিজেই এ বিষয়ে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা (ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার অব মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডস) লউরি ম্যাগনাসকে একটি চিঠি লিখে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেছেন।
চিঠিতে তিনি বলেছেন, ‘গণমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে বেশ কিছু ভুল তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, যার বেশিরভাগই সঠিক নয়। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, আমি কোনো ভুল করিনি। তবে, সন্দেহ এড়াতে আমি চাই আপনি স্বাধীনভাবে তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করুন।’
সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে , টিউলিপ সিদ্দিক তার খালা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের দেয়া একাধিক সম্পত্তিতে বসবাস করেছেন। এসব সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে, কিংস ক্রসের একটি ফ্ল্যাট এবং হ্যাম্পস্টেডে একটি বাড়ি।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিংস ক্রসের কাছে দুই বেডরুমের একটি ফ্ল্যাট ও হ্যাম্পস্টেডে একটি বাড়িসহ বেশ কয়েকটি সম্পত্তি নিয়ে চাপের মধ্যে আছেন টিউলিপ।
গেলো শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০১ সালে কিংস ক্রসের ফ্ল্যাটটি এক লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ডে কিনেছিলেন আবদুল মোতালিফ। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিল এই ব্যবসায়ীর। তবে ২০০৪ সালে বিনামূল্যে ওই ফ্ল্যাটের মালিক বনে যান টিউলিপ।
সানডে টাইমস বলছে, এর আগে টিউলিপ সিদ্দিক তাদের সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ফ্ল্যাটটি তার বাবা-মা কিনেছিলেন এবং উপহার হিসেবে তাকে দেন। এভাবে তিনি পত্রিকাটিকে বিভ্রান্ত করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
সানডে টাইমস তখন রিপোর্ট করেছিল, তিনি হ্যাম্পস্টেডের আলাদা সম্পত্তিতে বসবাস করছিলেন। ওই সম্পত্তি কিনেছিলেন মঈন গনি এবং টিউলিপ সিদ্দিকির বোনকে দিয়েছিলেন। পেশায় আইনজীবী মঈন গনির সঙ্গে শেখ হাসিনার সরকারের সংশ্লিষ্টতা ছিল।
এছাড়া তিনি পূর্ব ফিঞ্চলে আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য শাখার কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুল করিমের দুই দশমিক এক মিলিয়ন পাউন্ডের একটি বাসা ভাড়া নিয়েছেন বলে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের লেবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,টিউলিপ সিদ্দিক পরিকল্পনা অনুযায়ী চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভসের নেতৃত্বে চলতি সপ্তাহে চীনে অনুষ্ঠিত ট্রেজারি প্রতিনিধি দলের সফরে অংশ নেবেন না।
এসি//