সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচারের দাবিতে কুড়িগ্রামে পালিত হয়েছে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ কর্মসূচি। কর্মসূচিতে ফেলানীসহ সীমান্তে সব নাগরিক হত্যার বিচার, সীমান্তে মরণঘাতী অস্ত্র বন্ধসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় কুড়িগ্রাম স্বাধীনতা বিজয়স্তম্ভে এ ঘোষণা দেন সারজিস আলম।
তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশের সীমান্তে কোনো লাশ দেখতে চাই না। বাংলাদেশের যত নাগরিককে সীমান্তে লাশ করা হয়েছে তার বিচার আর্ন্তজাতিক আদালতে করতে হবে।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ হয়েছে, সেই বাংলাদেশ কোনো নতজানু পররাষ্ট্র নীতি মেনে নেবে না। আগামীতে বাংলাদেশে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা যদি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার জন্য কোনো দেশের দালাল হন তাহলে তাদের পরিণতি খুনি শেখ হাসিনার মতই হবে।
হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, “আর একটি হত্যা হলে ওই কাঁটাতার ভেদ করে চোখ যতদূর যায় লংমার্চ নিয়ে আমরা ততদূরই যাব।”
এসময় ফেলানীসহ সীমান্তে সব নাগরিক হত্যার বিচার, সীমান্তে মরণঘাতী অস্ত্র বন্ধ, ‘শহীদ ফেলানী’র নামে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনের নামকরণ, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বাতিল করে সাম্যের ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ এবং কুড়িগ্রামের চরের জীবনজীবিক উন্নয়নে নদী সংস্কার- এই পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন সারজিস আলম।
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত লংমার্চটি কুড়িগ্রাম জেলা শহরের কলেজ মোড় এলাকা থেকে শুরু হয়। পরে নাগশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের নাখারগঞ্জ গ্রামে ফেলানীর বাড়িতে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানকার বাজারে অনুষ্ঠিত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।
লংমার্চে আরও উপস্থিত ছিলেন- ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সদস্যসচিব আরিফ সোহেল প্রমুখ।
আই/এ