পঞ্চগড়ে একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ৯ থেকে বেড়ে ১২ ডিগ্রিতে পৌছেছে। কিন্তু তাপমাত্রা বাড়লোও শীতের তীব্রতা কমেনি। এখনও কুয়াশাচ্ছন্ন সমগ্র এলাকা। গত তিনদিন জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। তবে শুক্রবার শৈতপ্রবাহ কেটে গেছে ।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল জেলার তাপামাত্রা ৯ টায় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বায়ান্ন টিভিকে এ তথ্য জানিয়েছেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায়।
তিনি জানান, একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ রেকর্ড করা হয় ১১ থেকে ১২ কিলোমিটার।
তবে আকাশে হালকা মেঘ আর উপরিভাগে কুয়াশা থাকায় ভূপৃষ্ঠে ছড়াতে পারছে না সূর্যের কিরণ।এর আগে গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গত মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার ( ১০ জানুয়ারী) পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।
ওই দিন পঞ্চগড়ে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে পরের দিন শনিবার তেঁতুলিয়ার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করে। গত রবিবার সকাল থেকে কেটে যায় শৈত্যপ্রবাহ। আকাশে জমা হয় হালকা মেঘ। গত রবি ও সোমবার তেঁতুলিয়ায় দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করে।
এদিকে শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশার সঙ্গে বইছে উত্তরের ঝিরিঝিরি হিমেল বাতাস। রাতভর টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝরা কুয়াশায় ভিজে গেছে ঘরের চালা. পথ-ঘাট। সকালের হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কর্মজীবী মানুষ ছুটছেন কাজের সন্ধানে। শীতের তীব্রতা থাকায় অনুভূত হচ্ছে শীত।
শৈতপ্রবাহ না থাকলেও জেলার উপর দিয়ে উত্তরের হিমশীতল বাতাস বয়ে যাচ্ছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। কুয়াশায় ঢাকা রয়েছে সমগ্র এলাকা।
হীমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে মাঘের শুরুতে জেঁকে বসেছে শীত। রাতভর ঝরতে থাকা ঘন কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষজন।
আই/এ