বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান বলেছেন, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনকে স্বাগত জানায় বিএনপি, তবে কেউ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দল গঠন করতে গিয়ে সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা নিলে জনগণ হতাশ হবে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় শিক্ষক দিবস ও শিক্ষক সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি সংস্কার ও নির্বাচন দুটোরই পক্ষে। বিএনপি সংস্কার ও নির্বাচন দুটোরই পক্ষে। তবে সংস্কার না নির্বাচন এ নিয়ে কেউ কেউ কূটতর্ক শুরু করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারের সঙ্গে আমাদের দেয়া ৩১ দফার দুই-একটি ছাড়া সবই মিল রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন হচ্ছে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার অন্যতম হাতিয়ার। নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক করা মানে হলো- ফ্যাস্টিটদের অবস্থান শক্ত করে দেয়া।
বিএনপির নেতাকের্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, আপনাদের কার্যক্রম নিয়ে কেউ যাতে বির্তক সৃস্টি করতে না পারে, সেজন্য সর্তক থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কারের চাইতে সংসার পরিচালনা করা বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা তাতে নিন্মবিত্তের সংসার টেকানো দায় হয়ে গেছে। কিন্তু জনমনে প্রশ্ন উঠেছে কেন বাজার নিয়ন্ত্রণ করে দ্রব্যমূল্য কমাতে পারছে না বর্তমান সরকার। তাদের প্রশ্ন সরকারের কেউ কেউ অন্য ইস্যুতে বেশি মনোযোগী, নাকি সরকার পারছে না?’
শিক্ষকদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছেন এটি আপনাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে। এছাড়া বিএনপি সরকার পরিচালার সময় নেয়া বিভিন্ন পরিকল্পনাগুলো নিয়ে ও সমসাময়িক রাজনীতির বিষয়ে কথা বলেছেন আপনারা। তাই আর পুনরায় একই বিষয় কথা বলতে চাই না। বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে জ্ঞান ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের কোনো বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।
আই/এ