৪৭তম বিসিএসের আবেদন জমা দেয়ার শেষ তারিখ ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএসসি।
গত মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় পিএসসি।
পিএসসির একজন কর্মকর্তা জানান, ‘জুলাইয়ে সরকার পতনের আন্দোলনে অনেকের পরীক্ষা পিছিয়েছে। আবার অনেকের ফল আটকে গেছে। এই চাকরিপ্রার্থীদের কথা চিন্তা করে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন সময় বাড়ানো হয়েছে। তাঁরা যেন আবেদন করতে পারেন ও ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে জন্য আমরা এই সময় বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। তবে আর সময় বাড়বে না। এটাই আবেদনের শেষ সুযোগ।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে ইউজার আইডিপ্রাপ্ত প্রার্থীরা ওই সময়ের পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফি জমা দিতে পারবেন। নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের পর কোনো আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না।
৪৭তম বিসিএসের অ্যাপিয়ার্ড প্রার্থীর যোগ্যতার বিষয়েও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। যদি কোনো প্রার্থী এমন কোনো পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে থাকেন যে পরীক্ষায় পাস করলে তিনি ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করবেন এবং পরীক্ষার ফল ৪৭তম বিসিএসের আবেদনপত্র জমা দেওয়ার (অনলাইন রেজিস্ট্রেশন) শেষ তারিখ পর্যন্ত প্রকাশ না হয়, তাহলেও তিনি অবতীর্ণ প্রার্থী হিসেবে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন, তবে তা সাময়িকভাবে গ্রহণ করা হবে। শুধু সেসব প্রার্থীকে অবতীর্ণ (অ্যাপিয়ার্ড) প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হবে, যাঁদের স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সব লিখিত পরীক্ষা ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনপত্র গ্রহণের শেষ তারিখের মধ্যে, অর্থাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
আই/এ