বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে নারী সহকর্মীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শোভন আল ফুয়াদ নামের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। মামলা করেও বিচার না পেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুড়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগী নারী।
গত বছরের (০২ অক্টোবর) ২৪ ইং সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার উনাপালং মাছ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ২৫ নভেম্বর কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার কোন অগ্রগতি না থাকায় রোববার (২৬ জানুয়ারি) গণমাধ্যমের দ্বারস্থ হন তিনি
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের রামু উপজেলায় গত এক বছর আগে সিড নামের এক এনজিওতে পাবনার তরুণী যোগদান করেন। কর্মরত থাকা অবস্থায় তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দেখানো হয়। গত বছরের (০২/১০/২০২৪) তারিখে বিয়ের কথা বলে অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে শোভন ওই তরুণীকে নিজ বাসা উখিয়া উপজেলার উনাপালং মাছ বাজারের পার্শ্বে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এসময় ওই তরুণী আসামীকে কাবিননামা করা ব্যতীত যৌন সঙ্গমে বাঁধা দিলে তরুণীর তলপেটে,দুই রান ও পিঠে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর জখম করে। পরে আরেক সহকর্মীর সহযোগীতায় সেখান থেকে কোনমত জানে বেঁচে ফিরে আসে। এরপর রামু থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণে অস্বিকৃতি জানালে কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী বায়ান্ন টিভিকে বলেন, বিয়ের জন্য তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ কালে বাধা দিলে ব্যাপক মারধর করে। এরপর তিনি আদালতে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
ওই তরুণী আরও জানান, তিনি শোভনের সঙ্গে বহুবার কথা বলে বিয়ে করতে বলেছি। সে রাজি হয়নি। মামলার আপস বা মিমাংসা না করেই অভিযুক্ত কানাডা চলে যাচ্ছেন। শোভন তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। শোভনের কঠোর শাস্তির দাবিও জানান তিনি।
এ বিষয়ে আসামি শোভন আল ফুয়াদ এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, 'আসলে কি হয়েছে আমি জানি না। বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই বিরুক্ত হচ্ছি। এ বিষয়ে পরে কথা হবে বলে ফোন কেটে দেন'।
প্রসঙ্গত, শোভন আল ফুয়াদ কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার উনাপালং মাছ বাজার এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে। দুইজনই এনজিও SHED এ চাকুরীরত ছিল। ভুক্তভোগী ওই তরুণী পাবনা শহরের শালগাড়িয়ার বাসিন্দা ।
আই/এ