বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার নিয়ে কোনো কথা দেখি না। আমরা দেখি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থাকবে কি থাকবে না সেটি নিয়ে তাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগকে কীভাবে নিষিদ্ধ করা যায় সেটি নিয়ে তাদের মধ্যে কোন আলাপ-আলোচনা নাই।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ সড়কের পৌর মুক্তমঞ্চ মাঠ প্রাঙ্গণে ‘রাইজিং চুয়াডাঙ্গা’ শীর্ষক ছাত্র-জনতার সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, এর কারণ হলো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের ব্যবসার চিন্তা রয়েছে। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে লীগের ব্যবসাগুলোকে তারা দখল করতে চায়। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কাঠামোগুলোকে দখল করতে চায়।
তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে একটা রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা তৈরি হচ্ছে। প্রবীণ যে নেতৃত্ব রয়েছে, এই প্রবীণ নেতৃত্ব তরুণ প্রজন্মের ভাষা বুঝতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। প্রবীণরা যেখানে চিন্তা করে মোবাইল চালানোই হচ্ছে ধ্বংসের কারিগর, সেখানে এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই আমাদের এই যে গণঅভ্যুত্থানের জোট তৈরি হয়েছিলো।
এ ছাত্র নেতা বলেন, প্রবীণ রাজনীতিবিদরা তারা ছিলেন আপসকামী। তাদের কাছে খবর আছে, কারা কারা তিনটা নির্বাচনে শেখ হাসিনার সঙ্গে আপস করেছে। কাদের সঙ্গে খুনি শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। কাদের কাদের সঙ্গে খুনি শেখ হাসিনা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘হাসিনা আর আওয়ামী লীগ সরকার গণঅভ্যুত্থানের সময় আমাদের কিনতে পারেনি। তাই এখন যারা ভাবছেন সংসদের কয়েকটা চেয়ার দিয়ে ছাত্রদের কিনে ফেলে ক্ষমতা দখল করবেন, তারা ভুল ভাবছেন। ক্ষমতার দিকে যারা যেতে চাচ্ছেন, তাদেরকে বলি, আপনারা ক্ষমতার দিকে না যেয়ে জনতার দিকে আসুন, আমরাও আপনাদের পাশে থাকব’।
আই/এ