দেশজুড়ে

এলাকা ছাড়তে আল্টিমেটাম, বাসায় অফিস করছেন ইউএনও

ছবি: সংগৃহীত

অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগে পার্বতীপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাতেমা খাতুনের  অপসারণ দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীরা আন্দোলনে নেমেছেন।  ইউএনওকে পার্বতীপুর ছাড়তে দুই ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাসা থেকেই দাপ্তরিক কাজ করেন ইউএনও। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার বিকেলে আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় কার্যালয় ছেড়ে বাংলো বাড়িতে অবস্থান নেন।

উপজেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন,গতকাল তাকে পার্বতীপুর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য দুই ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। পরে প্রশাসনের সহায়তায় তিনি কার্যালয় ত্যাগ করলে আন্দোলনকারীরা কার্যালয় তালাবদ্ধ করে দেয়।

তিনি আরও আবি করেন,  ইউএনও একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। তিনি ফ্যাসিবাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। আমরা কোনোভাবেই তাঁকে ছাড় দেব না। আমরা এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর অপসারণের দাবি করেছি।

স্থানীয় জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দের দাবি , ২০২৪ সালের ১২ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে ফাতেমা খাতুন পার্বতীপুর উপজেলায় যোগদান করেন। গত ৫ আগস্ট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে হাসিনা সরকারের পতন হলে একই বছরের ডিসেম্বর মাসে তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ইউএনও পদে বদলির আদেশ পান। কিন্তু সেখানে যোগদান করেননি। একইভাবে ২০২৫ সালে জানুয়ারি মাসে তাকে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বদলি করা হলে সেখানেও তদবিরকরে রহিত করেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বুধবার ইউএনও ফাতেমা খাতুন বলেছিলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এর কোনো প্রমাণ দিতে পারবে না কেউ।

 

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন ইউএনও | পার্বতীপুর