ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আসছে সপ্তাহে জরুরি শীর্ষ সম্মেলন ডেকেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। সৌদি আরবে যুইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আলোচনায় ইউরোপকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত কিথ কেলোগ জানিয়েছেন, সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনায় ইউরোপীয় নেতাদের পরামর্শ নেওয়া হবে, তবে তারা সরাসরি এতে অংশ নিতে পারবেন না।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি সম্মেলন ডেকেছেন ইউরোপীয় নেতারা। আগামী সপ্তাহে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এই সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় ইউরোপকে বাদ দেওয়া হতে পারে, বিষয়টি নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলো উদ্বিগ্ন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার প্যারিসের ওই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ‘খুবই দুর্লভ’ একটি মুহূর্ত। এবং এটি স্পষ্ট যে ইউরোপকে ন্যাটোতে আরও বেশি ভূমিকা নিতে হবে।
চলতি মাসের শেষ দিকে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করবেন কিয়ার স্টারমার। তখন ইউরোপীয় নেতাদের মতামত নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করবেন। কিয়ার ওয়াশিংটন থেকে ফিরে আসার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ইউরোপীয় নেতাদের আরও একটি বৈঠক করবেন।
এদিকে, পোর্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাডোস্লা সিকোরস্কি বলেছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইউরোপীয় নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন ডেকেছেন। তবে ম্যাক্রোঁ এখনও এরকম কোনও ঘোষণা দেননি বলে তার দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ইউক্রেনে শান্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে একত্রিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এমআর//