ক্যাম্পাস

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থীকে মারধর

ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের এমসি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে মিজানুর রহমান রিয়াদ নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে ফেসবুকে ছাত্র শিবিরকে নিয়ে পোস্ট দেয়ায় এ হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত মিজানুর এমসি কলেজের ইংরেজি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ আঞ্জুমানে তালামীযে ইসলামিয়া নামের একটি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রাবাসের প্রথম ব্লকের ১০১ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি বলে জানিয়েছেন  শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন

ভুক্তভোগী জানান, খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেনতাতে  আগের ও বর্তমান সময়ের তুলনা করেন। এই প্রতিক্রিয়ার জেরে শিবিরের কর্মীরা রুমে ঢুকে কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই হামলা করে। পরে রুমমেটদের সহায়তায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

আহত মিজানের রুমমেট ও বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জুনেদ আহমদ জানান, রাতে ঘুমানোর সময় দরজায় ধাক্কা দেয়া হয়। দরজা খুলে দিলে এমসি কলেজ ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জওহর লুকমান মুন্নাসহ ১০-১২জন শিবির কর্মী রুমে ঢুকে। তারা রিয়াদকে চড়-থাপ্পড়, লাথি-ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে পাশের রুম থেকে রড নিয়ে রুমে প্রবেশ করে নাজমুল ও সালমান। রিয়াদের রুমমেট জুনেদ এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে রুমের বাইরে বের করে দেওয়া হয়। দরজা লাগিয়ে রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় ।

অভিযোগ বিষয়ে সিলেট মহানগর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি শহীদুল ইসলাম সাজু বলেন, দুই শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দলীয় কোনো নেতাকর্মী যুক্ত রয়েছে কিনা, তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

 

এ ব্যাপারে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম রিয়াজ বলেন,  আজ সকালে ঘটনার খবর পেয়েই তারা হোস্টেল পরিদর্শন করেছেন।  আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ও তার খোঁজখবর তারা নিয়েছেন। এ ঘটনার পর ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।  তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আই/এ