গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) চার ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস। বিনিময়ে ইসরাইলে বন্দি থাকা ৬২০ ফিলিস্তিনদের মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। ইতোমধ্যে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের বহনকারী বাস পশ্চিম তীরে পৌঁছেছে।
হামাস গেলো সপ্তাহে ইসরাইল কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দি গাজায় আটক সমসংখ্যক নারী ও শিশু হস্তান্তরের বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘোষণা দেওয়ার পর এই বিনিময়টি ঘটে।
তবে, চুক্তি অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ ৬০ হাজার ভ্রাম্যমাণ ঘর ও ২ লাখ তাঁবু সরবরাহের কথা থাকলেও তা না করায় গাজা উপত্যকায় হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে ৬ নবজাতক।
ইসরাইলের সাবেক মধ্যস্থতাকারী জানিয়েছে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদের চেয়ে ভয়াবহ আচরণ করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ইসরাইলের যুদ্ধে ৪৮ হাজার ৩৪৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ১১ হাজার ৭৬১ জন আহত হয়েছেন।
সরকারি মিডিয়া অফিস মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৬১ হাজার ৭০৯ জনে আপডেট করেছে এবং জানিয়েছে যে ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালে হামাস-নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরাইলে কমপক্ষে ১১৩৯ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশিকে বন্দি করা হয়েছিল।
এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় দখলদার ইসরাইলের হামলায় ৪৮ হাজার ৩৪৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, ১ লাখ ১১ হাজার ৭৬১ জন আহত হয়েছেন। সরকারি মিডিয়া অফিস তাদের মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৬১ হাজার ৭০৯ জনে আপডেট করেছে এবং জানিয়েছে যে ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া দখলদার ইসরাইলের হামলায় ধ্বংস হয়েছে গাজার ৯০ শতাংশ স্কুল। যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার পর বাকি ১০ শতাংশ স্কুলে শুরু হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। ১৬ মাস পর ক্লাসে ফিরতে পেরে অনেক শিশুই আনন্দে উৎফুল্ল ছিল। যদিও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সবার কণ্ঠেই ছিল পুনরায় যুদ্ধ শুরুর শঙ্কা।
এমএ//
