সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারের অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাজা বিষয়ে আপিলের রায় ঘোষণার জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) তারিখ নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (০৪ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই দিন ধার্য করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন।
এর আগে গেলো বছর ১০ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ, সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ৭ বছরের সাজার রায় স্থগিত করেন।
এর আগে গেলো ৫ ডিসেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে বিচারিক আদালতের দেয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের রায় বাতিল করেন। একইসঙ্গে তাকে খালাস দেয়া হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে কয়টি দুর্নীতির মামলা হয় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত অর্থ পাচারের এ মামলাটি। এ মামলায় বিচারিক আদালতে খালাস পান তারেক রহমান। যে বিচারক এ মামলায় তাকে খালাস দেন ওই বিচারককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয় এক সময়।
পরে এ খালাসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এখানে এসে তারেক রহমানকে দেয়া হয় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা। তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অন্য মামলার সঙ্গে অর্থ পাচার মামলায় আইনি পদক্ষেপ নেন তারেক রহমানের আইনজীবীরা। খালাস চেয়ে আপিলের অনুমতি চান ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনও। যার শুনানি হয় আপিল বিভাগে। শুনানি শেষে দুইজনেরই সাজার রায় স্থগিত করেন সর্বোচ্চ আদালত।
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মোট ৮৪টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে প্রায় ৪০টি মামলায় তিনি জয়ী হয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আরও ৩টি মামলা এখনো বিচারাধীন।
এসি//