সম্প্রতি জনপ্রিয় টলি অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী গণমাধ্যমে নিজের জীবনের এক অজানা গল্প শেয়ার করেছেন। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি একটি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, যা তার জীবনে অনেক কষ্ট নিয়ে এসেছিল। ঋতাভরী বলেন, তার রোগটি ছিল ‘রেকারিং ডিপ্রেশন’ (বারবার ডিপ্রেশন), যা জিনগত কারণে তাকে সারা জীবন বহন করতে হবে।
ঋতাভরী তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে বলেন, "চিকিৎসক আমার মাকে আগেই বলেছিলেন, 'এটি একটি জিনগত সমস্যা। এটা থেকে বের হওয়ার কোনো উপায় নেই, এটাকে সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। তবে, চিকিৎসক তাকে বলেছিলেন কীভাবে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তিনি তাকে যোগব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়েছিলেন, এবং জানিয়ে ছিলেন, সে যদি শরীরচর্চা না করতে তাহলে তার সমস্যা আরও বাড়বে।
তবে ঋতাভরী ওষুধ খেতে চাননি, তিনি বলেন, "চিকিৎসক আমাকে বলেছিলেন, যদি আমি ওষুধ এড়িয়ে চলতে চাই, তবে আমাকে মন ভালো রাখতে হবে। তাই ছোটবেলা থেকেই আমাকে ধ্যান, শরীরচর্চা এবং মনকে শান্ত রাখার বিষয়গুলো শেখানো হয়।"
ঋতাভরী তার মানসিক সমস্যা থেকে কীভাবে সংগ্রাম করেছিলেন, তা এক ঘটনার মাধ্যমে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, "আমি তখন ক্লাস টুয়েলভে পড়ছিলাম। একদিন হলুদ ট্যাক্সিতে বাড়ি ফিরছিলাম, বাইপাসের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ মনে হচ্ছিল, গাড়ির হাতল ধরে ঝাঁপ দিয়ে দেব।"
আজকের দিনে, ঋতাভরী তার সংগ্রামের পর সফল হয়েছেন এবং তিনি এখন অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা।
এসকে//